নে, তার মধ্যে কে কী পার্ট নিয়েছিলেন সব লেখা ছিল। তবু যতটা মনে পড়ে বলছি। নট সেজেছিলেন ছোটোপিসেমশায়, নীলকমল মুখোপাধ্যায়। নটী জ্যোতিকাকামশায়। তখনকার থিয়েটারে নট-নট ছাড়া চলত না । কৌতুক — মতিলাল চক্রবর্তী, ছোটোপিসেমশায়ের আপিসের লোক ছিলেন তিনি। গবেশবাবু, নাটকের নায়ক, যিনি তিন-চারটে বিয়ে করেছিলেন, অক্ষয় মজুমদার নিয়েছিলেন সেই পার্ট । গবেশবাবুর তিন স্ত্রীর পার্ট নিয়েছিলেন যথাক্রমে মণিলাল মুখুজে, ছোটোপিসেমশায়ের ছোটাে ভাই, আমাদের মণি খুড়ো-– বিনোদ গাঙ্গুলি – তারা তখন ছোকর – আর বড়ে স্ত্রী সেজেছিলেন ও-বাড়ির সারদা পিসেমশায় । হারমোনিয়াম বাজাতেন জ্যোতিকাকামশায় । তার আগে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান হয় নি, এই প্রথম হল । নয় রাত্তির ধরে সমানে থিয়েটার হয়েছিল । সাহেবস্থবো, শহরের বড়ে বড়ো লোক সবাই এসেছিলেন । বাড়ির মেয়েদের তখন বাইরে বের হবাব নিয়ম ছিল না ! তখনকার দিনে দস্তুরই ছিল ওই । মার কাছে শুনেছি বরিামশায়র। যখন বাগানে বসতেন, কাছাকাছি জানালায় গিয়ে উকি দেওয়া বা দাসদাসীর ঝুকে পড়ে কিছু দেখা. এ-সব ছিল অসভ্যত । বাইরের পুরুষ বাড়ির মেয়েদের দেখবে এ বড়ো নিন্দের কথা । ত, থিয়েটার হবে হলে"; পাশের ঘরে ঘুলঘুলি দিয়ে বাড়ির মেয়ের থিয়েটার দেখতেন । দুটি ঘুলঘুলি মাত্র ছিল সেখানে, তার একটিতে খাটাল জুড়ে বসতেন কর্তাদিদিম। আর-একটি ঘুলঘুলি দিয়ে বাড়ির অন্ত মেয়েরা ভাগাভাগি করে দেখতেন ! নয় রাত্তিরসমান কর্তাদিদিমা থিয়েটার দেখেছেন । ম' বলতেন, মাকে আবার কর্তাদিদিমা একটু বেশি ভালোবাসতেন, মা যশোরের মেয়ে ছিলেন , তার উপরে ছোট্ট বউটি ! কর্তাদিদিম মাকে ডেকে বলতেন, আয়, তুই আমার কাছে বোস। ব’লে মাকে কোলে টেনে নিয়ে বসিয়ে থিয়েটার দেখাতেন । মা বলতেন, নয় তো আমার থিয়েটার দেখা সম্ভব হত না । সেই মার কাছেই সব বর্ণনা শুনেছি থিয়েটারের । তিনি বলতেন, সে যে কী সুন্দর নট-নটা হয়েছিল, নট-নট দেখলেই লোকের চিত্তির হয়ে যেত, কে বলবে যে নটী মেয়ে নয়। নটী আসল মুক্তোর মালা হীরের গয়না পরেছিলেন । সেই নট-নটি আবার তামাসা করে বাগানময় ঘুরে বেড়ালেন। পাশের বাড়ির চাটুজ্জেমশায় ছিলেন বেজায় গোড়া, তিনি তো রেগে כיב צ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।