পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললেন, পাপিষ্ঠ, শেষটার বউটাকে মেরে ফেললি, তোর নরকেও স্থান হবে না । থিয়েটারে ছিল গবেশের এক বউ গলায় দড়ি দিয়ে মারা যায়। বৃদ্ধ তখনো সেই অভিনয়ে মশগুল হয়ে আছেন, ভাবছেন সত্যিই গবেশবাৰু বউকে মেরে ফেলেছে। মার মুখেও শুনেছি যে অভিনয় দেখে সত্যি বলে ভ্রম হত । তার পর আমাদের ছেলেবেলায় যেটুকু মনে পড়ে—“কিঞ্চিৎ জলযোগ", যাতে একটা পার্ট ছিল পেরুরামের, জ্যোতিকাকার লেখা । বাবামশায়ও তাতে ছিলেন। তার একটা গান আর হাসির হরর আমার এখনো কানে ভাসছে— - ও কথা আর বোলো না, আর বোলে না, বলছ বঁধু কিসের ঝে কে— ও বড়ো কাসির কথা, হাসির কথা, হাসবে লোকে, হাঃ হাঃ হাঃ হাসবে লোকে । সে কী হাসির ধুম ! প্রাণখোলা হাসি, আজকের দিনে অমন হাসি বড়ে ‘মিস’ করি। হাসতে জানে না লোকে । তাদের ভিতরে অনেক দুঃখ, সংসারের জালাযন্ত্রণা ছিল মানি, কিন্তু হাসতেন যখন—ছেলেমানুষের মতে প্রাণখোলা হাসি। শুনে মনে হত যেন কোনো দুঃখ কখনো পান নি। তার পরে আসবে তুমামাদের কথা । bতখনকার কালের নাটকের সূত্রপাতের কথা তো বলেছি, নাট্যজগতে তখন দীনবন্ধু মিত্তিরের প্রতাপ। তার নীল-দৰ্পণ প্রসিদ্ধ নাটক। সেই নাটক হবার পর থেকেই নীলকর সাহেবরা উঠে গেল। পাত্রী লং সাহেব তার ইংরেজী অনুবাদ করে জেলে যান আর কী । মকদ্দম, মহা হাঙ্গামা । শেষে কালী সিং, যিনি বাংলায় মহাভারত লিখেছিলেন, তিনি লক্ষ টাকা জামিনে লং সাহেবকে ছাড়িয়ে আনেন। সে অনেক কাও ৷ তার পর দীনবন্ধু মিত্তিরের সধবার একাদশী, আরো অনেক নাটক, সে-সব হয়ে তার পাল৷ Ꮌ &Ꮼ.