পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভট্ট রামায়ণ পড়েন। সাহিত্যের বেশ একটা চর্চা হত। নানা রকমের এ বই সে বই পড়া হয়। একবার ড্রামাটিক ক্লাবে “অলীকবাবু অভিনয় হয়। অলীকবাবু, জ্যোতিকাকামশায়ের লেখা, ফরাসী গল্প, মোলেয়ারের একটা নাটক থেকে নেওয়া । সেই ফরাসী গল্প উনি বাংলায় রূপ দিলেন । অত তে পাক৷ লিখিয়ে ছিলেন, কিন্তু ফরাসী ছায়া থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। নয়তে হেমাঙ্গিনী কি আমাদের দেশের মেয়ে ? এখনকার কালে হলেও সম্ভব ছিল, সেকালে অসম্ভব। এই অবস্থায় আমরা যখন প্লে করি রবিকাকা তো অনেক অদল-বদল করে দিয়ে তা ফরাসী গন্ধ থেকে মুক্ত করলেন। এইখানেই হল রবিকাকার আর্ট । আর করলেন কী, হেমাঙ্গিনীর প্রার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন। আগে ছিল এক অলীকবাবুই নানা সাজে ঘুরে ফিরে এসে বাপকে ভুলিয়ে হেমাঙ্গিনীকে বিয়ে করে। রবি কাক সেখানে অনেকগুলো লোক এনে ফেললেন। তাতে হল কী, অনেকগুলো ক্যারেক্টারেরও স্বষ্টি হল। হেমাঙ্গিঙ্গীকে রাখলেন একেবারে নেপথ্যে । তা ছাড়া তখন মেয়েই বা কই অ্যাকটিং করবার। তাই হেমাঙ্গিনীকে আর বেরই করলেন না । সেবারে লেখায় কতকগুলো এমন মজার ‘ডায়লগ ছিল, সেই স্টেজ-কপির পিছনেই . উনি লিখেছিলেন বাড়তি অংশটুকু। ভারি অদ্ভুত অদ্ভূত ডায়লগ সব। অলীকবাবু বলছেন এক জায়গায়, একেবারে তাহ তাহ লেগে যাবে। র্তাহ র্তাহ মানে কী তা তো জানি নে, কিন্তু ভারি মজা লাগত শুনতে । আরো কত সব এমনিতরো কথা ছিল । তা, অভিনয় তো হবে, রয়েল থিয়েটারের সাহেব-পেপ্টারকে বলে বলে পছন্দ-মাফিক দিন আঁকালুম। স্টেজ খাড় করা গেল। নাট্যজগতে সাহিত্যজগতে সেই আমরা এক-এক মূতি দেখা দিলুম। রবিকাকা নিলেন অলীকবাবুর পার্ট, আমি ব্রজদুর্লভ, অরুদা মাড়োয়ারি দালাল। রবিকাকার ওই তে স্বন্দর চেহারা, মুখে কালিঝুলি মেখে চোখ বসিয়ে দিয়ে একটা অত্যন্ত হতভাগা ছোড়ার বেশে স্টেজে তিনি বেরিয়েছিলেন। হেসে না, আমাকে আবার পিসনী দাসীর পার্টও নিতে হয়েছিল । আমার ব্রজদুৰ্লভের পার্ট ছিল খুব একটা বখাটে বুড়োর। হেমাঙ্গিনীকে বিয়ে করতে আসছে একে একে এ ও । আমি, মানে ব্রজদুর্লভ, তাদেরই একজন গায়ে দিয়েছিলুম Nat