নীল গাজের জাম— আমার ফুলশয্যার সিস্কের জামা ছিল সেটা— তখনকার চলতি ছিল ওই রকম জামার। সোনার গার্ড-চেন বুকে, কুচিয়ে ধুতির কোচটি কালাচাবাবুর মতো বুক-পকেটে গোজ যেন একটি ফুল, হাতে শিঙের ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে স্টেজে ঢুকলুম। একটু-একটু মাংলামি ভাব। এখন সেই পার্টে আমার একটা গান ছিল, রবিকাকার দেওয়া স্বর— আগে কী জানি বল নারীর প্রাণে সর গো এত কাদাব মনে করি ছি ছি সখি, কাদি তত। কোখেকে যে ও গান জোগাড় করেছিলেন তা উনিই জানেন। আমার গলায় ও স্বর এল না। আমি বললুম, ও আমি গাইতে পারব না, ও স্বর আমার গলায় আসবে না। রবিকাকা বললেন, তবে তুমি নিজেই যা হয় একটা গাও, কিন্তু এই ধরনের হবে। আমি বললুম, আচ্ছ, সে আমি ঠিক করব’খন। রাধানাথ দত্ত বলে একটি লোক প্রায়ই এখানে আসতেন, মদটদ খাওয়া অভ্যেস ছিল তার। র্তার মুখে একটা গান শুনতুম, জড়িয়ে জড়িয়ে গাইতেন আর ছড়ি ঘুরিয়ে চলতেন। আমি ভাবলুম এই ঠিক হবে, আমিও মাথায় চাদর জড়িয়ে ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে রাধাবাবুর হুবহু নকল করে স্টেজে ঢুকে গান ধরলুম— - জায় কে তোরা যাবি লো সই - অনিতে বারি সরোবরে। -এই দুই লাইন গাইতেই চারি দিক থেকে হাততালির উপর হাততালি । রাধাবাবুর মুখ গভীর। সবাই খুব বাহবা দিলে। রবিকাকা মহা খুশি ; বলেন, বেড়ে করেছ অবন, ও গানটা যা হয়েছে চমৎকার! আর সত্যিই আমি খুব ভালো অভিনয় করেছিলুম। এই নাটকেই প্রথম সেই গানটি হয়, রবিকাকা তৈরি করে দিলেন, আমরা অভিনয়ের পর সবাই স্টেজে এসে শেষ গানটি করি— আমরা লক্ষ্মীছাডার দল छरखब्र श्रृंभू*itरब छळण সদা করছি টলেমিল । و ناد
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।