বলে হাক দিয়ে যেই তেড়ে বেরিয়েছেন, নিতুল অনেক-সব জড়িগঙ্গার কীর্তি করেছিলেন বলেছি, এখন তারই একটা দড়িতে অক্ষয়বাবুর গল গেল বেধে । কিছুতেই আর খোলে না, কেমন যেন আটকে গেছে। যতই মাথাকাকালি দেন, উহু, দড়ি খোলে না । মহা বিপদ, আমি পিছন থেকে আস্তে আস্তে দড়িটা তুলে দিতেই অক্ষয়বাৰু এক লাফে স্টেজের সামনে গিয়ে গান ধরলেন—
- আঃ বেঁচেছি এখন।
শৰ্মা ওদিকে আর লন । গোলেমালে ফাকতালে...সটকেছি কেমন সা—ফ সটকেছি কেমন । এই গান গাইতেই, আর তার উপর অক্ষয়বাবুর গল, চারদিক থেকে হাততালি পড়তে লাগল। প্রথম গানেই এবারে মাৎ । তার পর বৃষ্টি হল স্টেজে, আর সঙ্গে সঙ্গে গান 隱 রিম ঝিম ঘন ঘন রে বরষে পিছনে আয়না দিয়ে নানারকম আলো ফেলে বিদ্যুৎ দেখানো হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে কড়কড় করে আমি ভিতর থেকে টিন বাজাচ্ছি, দুটো দম্বেল ছিল, দম্বেল জানো তো ? কুস্তিগিররা কুস্তি করে, লোহার ডাণ্ডার দু-পাশে বড়ো বড়ে লোহার বল, নিতুদা দোতলায় ছাদ থেকে সেই দম্বেল দুটাে গড়গড় করে এ-ধার থেকে ও-ধার গড়াতে লাগলেন । সাহেব মেমরী তো মহা খুশি, হাততালির পর হাততালি পড়তে লাগল। যতদূর রিয়ালিষ্টিক করা যায় তার চূড়ান্ত হয়েছিল। এখন স্থ্যর ঢুকবে। আগেই তো বলেছি স্টেজে মাটি ভরাট করে গাছের ডাল পুতে দেওয়া হয়েছিল । এখন, বৃষ্টিতে সব কাদা হয়ে গেছে। দাদা স্টেজে ঢুকেই তো দপাস করে পা পিছলে পড়ে গেলেন। পড়ে গিয়ে আর উঠলেন না, ওখানেই হাত-পা একটু তুলে বেঁকিয়ে ওইভাবেই পোজ দিয়ে রইলেন। আমরাও আশেপাশে সব ষে যার পোজ দিয়ে বসলুম, লুটের জিনিস ভাগ হবে। দিতুকেও সেবারে নামিয়েছিলুম ! দিজু তখন ছোটো, ওর একটা পোষা ঘোড়া ছিল, রোজ ঘোড়ায় চড়ত। সেই ঘোড়ার পিঠে আমাদের লুটের মাল বোঝাই করে দিহু স্টেজে এল। . আমরা সৰ লুটের মাল ভাগ Y& Y