ফুলে উঠল। প্রায়ই আমাদের বলতেন, লেডি ল্যান্সডাউন আমার কথা বলেছেন যে He is my man জানো তা, এ কি চালাকি নাকি । তার উপর রবিকাকার গান, আর তার তখনকার গল, যখন গাইতেন, এ কী এ.এ কৗ এ,স্থির চপলা। কিরণে কিরণে হল সব দিক উজলা। সব লোক একেবারে স্তব্ধ হয়ে যেত । লক্ষ্মী সেজে বিবি যখন লাল আলোতে স্টেজে চুকত, আহ সে যে কী সুন্দর দেখাত। সরস্বতীর বেলায় থাকত সব শাদা— শাদ শোলার পদ্মফুলের মধ্যে শুভ্র সাজে প্রতিভাদিদি যখন বীণা হাতে বসে থাকতেন প্রথমে সবাই ভেবেছিল মাটির প্রতিমা । সেও যে কী শোভা কী বলব তোমাকে । অষ্ট্রীচের ডিমের খোলা দিয়ে শখ করে একটি ছোটো সেতার বানিয়েছিলুম, সেটা রুপোলি রাংতা দিয়ে মুড়ে বীণা হয়েছিল। আমার সে সেতারটি ওই করে করেই গেল । তা সেই বীণাটি হাতে নিয়ে প্রতিভাদিদি বসে থাকতেন, শেষটায় উঠে রবিকাকার হাতে বীণা দিয়ে বলতেন, এই নে আমার বীণা, দিলু তোরে উপহার— ষে গান গাহিতে সাধ, ধ্বনিৰে ইহার তাৰ । সে কথা সত্যি সত্যিই ফলল ওঁর জীবনে । S > ভগ্নহৃদয়’ লেখা চুকিয়ে রবিকাকা সেই সবে বিলেত থেকে ফিরেছেন। জ্যোতিকাকামশায় থাকেন তখন ফরাশডাঙার বাগানে। আমরা থাকি চাপদানির বাগানে। এই দুই বাগান আমাদের দুই পরিবারের। আমরা তখন ছোটো ছোটো ছেলে। এক-একদিন বেড়াতে যেভূম ফরাশডাঙার বাগানে যেমন ছেলেরা যায় বুড়োদের সঙ্গে। সেই একদিনের কথা বলছি। তখন মাসটা কী মনে পড়ছে না, খুব সম্ভব বৈশাখ। আমের সময়। বসে আছি বাগানে। খুব আম-টাম খাওয়া হল। রীতিমত পেটের সেবা করে তার পর গান। জ্যোতিকাকামশায় বললেন, ‘রবি, গান গাও। গান হলেই রবির গান হবে। আমি তখন সাত-আট বছরের ছেলে। রবিকাকার দশ বছরের ছোটো। ওঁর তখন সতেরো বছর। সেই গানটা হল— Ꮌ ❍ ☾
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।