পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্‌ষ্টিটিউট নামে কলেজ খোলা হল। তাতে তাত চলবে, দেশলাইয়ের কারখানা আরো সব-কিছু থাকবে। কলেজ চলছে, মাঝে মাঝে কমিটির মিটিং বসে । এখন, এক কমিটি বসল বউবাজারের ওখানে একটি বাড়িতে। রবিকাকা গেছেন, আমরাও গেছি, ভোট দিতে হবে তো মিটিঙে। সার গুরুদাস বাড়ুজ্জে সভার প্রেসিডেণ্ট, ইচ্ছে করেই ওঁকে করা হয়েছে, তা হলে ঝগড়াঝাটি হবে না নিজেদের মধ্যে। কোনো প্রস্তাব হলে উনি দু-পক্ষকেই ঠাণ্ড রাখছেন। রবিকাকা সেই মিটিঙে প্রস্তাব করলেন এমন করে কলেজের কাজ চলবে না। প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিঙের দরকার। ছ-সাতটি ছেলেকে খরচ দিয়ে বিদেশে জায়গায় জায়গায় পাঠিয়ে সব শিখিয়ে তৈরি করে আনা হোক । খুবই ভালো প্রস্তাব। প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিঙের খুবই প্রয়োজন, নয় তে৷ চলছে না। সে মিটিঙে আর-এক জন পাণ্টা প্রস্তাব করলেন, তিনি এখন নামজাদ প্রফেসার, তার দরকার কী মশায়। বই আনান, বই পড়ে ঠিক করে নেব ।’ শেষে সেই প্রস্তাবই রইল। আমরা সব অবাক। রবিকাকা চুপ। এই রকম সব ব্যাপার ছিল তখন। রবিকাকার স্বীমের ওই দশা হত। বাধা পেয়েছেন অনেক, অন্যায় ভাবে । সেই সময় থেকেই বোধ হয় ওঁর মনে মনে ছিল যে নিজেদের একটা-কিছু না করলে হবে না। শাস্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য আশ্রমে রবিকাকা নিজের মনের মতে ফ্রি স্কোপ পেলেন। জমিজমা পুরীর বাড়ি এমন-কি কাকীমার গায়ের গয়না বিক্রি করে শাস্তিনিকেতনে সব ঢেলে দিয়ে কাজ শুরু করলেন। כ\ צ বিরজিতলায় মেজোজ্যাঠামশায়ের বাড়িতে ‘মায়ার খেলা’ অভিনয় হয়। ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’র পরে এই ‘মায়ার খেলা’, যা দেখে মন নাড়া দিয়েছিল। ‘রাজা’ অভিনয় প্রথম বোধ হয় এই বাড়ির উঠোনেই হয়। আমরা তাতে কী সেজেছিলুম মনে পড়ছে না। স্টেজ ডেকোরেশন আমরাই করেছি। একবার শারদোৎসবে প্রম্পটারকে স্টেজে নামিয়েছিলুম, তা জানো না }ళీe e