কথা। কবে থেকে কত এক্সপেরিমেন্ট করে তবে আজকের এই দাড়িয়েছে। * একবার শারদোৎসবে তো ওই রকম করে স্টেজ সাজানো হল, পিছনে দেওয়া হল নীল বনাতটি, তখন থেকে ওই নীল বনতিই টানিয়ে দেওয়া হত স্টেজের ব্যাকগ্রাউণ্ডে। প্রকাণ্ড একটা শোলার ছত্র ছিল বেশ বিকৃকিকে আসামের অভ্র দেওয়া । সেইটিই এক পাশে টানিয়ে দেওয়ালুম। বেশ নীল রঙের আকাশের গায়ে ছত্রের রঙটি চমৎকার দেখাতে লাগল। রবিকৃাকার তেমন পছন্দ হল না ; বললেন, রাজছত্র কেন আবার। বেশ পরিষ্কার ঝরঝরে স্টেজ থাকবে বলে সেদিকে খুলে দিলেন। মনটা খারাপ হয়ে গেল। একদিন ড্রেস রিহার্সেল হবে, কোন সিনে কোন লাইট আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে, কোন লাইট আবার ধীরে ধীরে ফুটে উঠবে রথী আর কনক সব লিখে নিলে । সেবারে অভিনয়ে লাইটের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছিল । এখন, সেই ড্রেস রিহার্সেল হবে, মনটা তো আমার খারাপ হয়ে আছে, শখ করে রাজছত্র টানালুম সেটা পছন্দ হল না কারে । বসে বসে ভাবছি। নন্দলালকে বললুম, নন্দলাল, নীল রঙের বনাতের উপরে চাদ দিতে হবে। নন্দলাল বললে, তা হলে চাদ একে দেব কাপড়ের উপরে ? আমি বললুম, না, চাদ আঁকবে কী । সত্যিকার চাদ চাই । শরৎকালের আকাশ তাতে প্রতিপদের চাদ চাই আমার । নন্দলাল আর ভেবে পায় না । আমি বললুম, যাও মালীর দোকান থেকে রুপোলি কাগজ নিয়ে এসে । নন্দলাল তখুনি দু-সিট রুপোলি কাগজ নিয়ে এল। বললুম, কাটো, বেশ বড়ো করে একটি প্রতিপদের চাদ কাচি দিয়ে কাটে, আর গুটি দুই-তিন তারা । নন্দলাল বেশ বড়ো করে চাদ ও গুটি দুই-তিন তার রুপোলি কাগজের সিট থেকে কেটে নিয়ে এল । আমি বললুম, যাও বেশ ভালো করে আঠা লাগিয়ে আকাশের গায়ে সেটে দাও । ভালো করে দিয়ে, শেষে যে আধখানা চাদ ঝুলে পড়বে আকাশের গী থেকে তা যেন না হয়। Σ ΨΨ9
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।