করলে। সেই নীল পর্দার চাদ ডাকঘরেও এল । মাঝে মাঝে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি বলি বেশ হয়েছে। নন্দলালের সাধ্যমত তো স্টেজকে পাড়াগেয়ে ঘর বানালে। তার পর হল আমার ফিনিশিং টাচ । আমি একটা পিতলের পাখির দাড়ও এক পাশে ঝুলিয়ে দেওয়ালুম। নন্দলাল বললে, পাখি ? আমি বললুম, ন, পাখি উড়ে গেছে শুধু দাড়টি থাকৃ। দেখি দাড়টি গল্পের আইডিয়ার সঙ্গে মিলে গেল। সবশেষে বললুম, এবারে এক কাজ করে তো নন্দলাল। যাও, দোকান থেকে একটি খুব রঙচঙে পট নিয়ে এসে তো দেখি । নন্দলাল পট নিয়ে এল। বললুম, এটি উইঙের গায়ে আঠ দিয়ে পট্টি মেরে দাও। যেমন ওটা দেওয়া, একেবারে ঘরের রূপ খুলে গেল। সত্যিকার পাড়াগেয়ে ঘর হল । এতক্ষণ মনে হচ্ছিল যেন সাজানো-গোছানে । এ-সব ফিনিশিং টাচ আমার পুজিতে থাকত। এই রকম করে আমি নন্দলালদের শিখিয়েছি। ডাকঘরে আমি হয়েছিলুম মোড়ল । ও-রকম মোড়ল আর কেউ সাজতে পারে নি। তখন মোড়ল সেজেছিলুম, সেই মোড়লি করেই চলেছি এখনে । এই স্টেজ সাজানো দেখো কতভাবে হত, এই তো কয়েক রকম গেল। আর-একবার শারদোৎসবে বক উড়িয়ে দিলুম ব্যাক-গ্রাউণ্ডে । নন্দলালদের বললুম, একটা কাপড়ে খড়িমাটি প্রলেপ দিয়ে নিয়ে এসে । ওরা কাপড়ে খড়িমাটির প্রলেপ দিয়ে টান করে ধরল। আমি এক সার বক একে দিলুম ছেড়ে । তার ডাকতে ডাকতে স্টেজের উপর দিয়ে যেতে লাগল । দালানের সামনে সেবার শারদোৎসব হয়। তখন অভিনয়ে এক-একজনের সাজসজ্জাও এমন একটু অদল-বদল করে দিতুম যে, সে অন্য মানুষ হয়ে যেত। রবিকাকার দাড়ি নিয়ে কম মুশকিলে পড়েছি ? শোনো সে গল্প । এখন, রবিকাকার যত দাড়ি পাকছে সেই পাকা দাড়িকে কালো করতে আমাদের প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে । কোনো রকম করে তো দাড়িতে কালো রঙ লাগিয়ে অভিনয়ে কাজ সারা হত কিন্তু অভিনয়ের পরে রাত্তিরে সেই কালে b Jు
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।