পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিছানায় যেতুম তখনো চলত আমার কল্পনা। নানারকম কল্পনায় ডুবে থাকত মন ; স্পষ্ট যেন দেখতে পেতুম সব চোখের সামনে। খড়খড়ির সামনে ছিল কাঠালগাছ। জ্যোৎস্ন রাত্তির, চাদের আলোয় কাঠালতলায় ছায় পড়েছে ঘন অন্ধকার । দিনের বেলায় চাটুজ্জেমশায় বলেছিলেন, আজ রাত্তিরে কঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে হবে। রাত জেগে দেখছি চেয়ে, কাঠালতলায় যেন সত্যি কাঠবেড়ালির বিয়ে হচ্ছে, খুদে খুদে আলোর মশাল জালিয়ে এল তাদের বরযাত্রী বরকে নিয়ে, মহা হৈ-চৈ, বাদ্যভাও, দৌড়াদৌড়ি, হুলুস্কুলু ব্যাপার। সব দেখছি কল্পনায় । কঁঠালতলায় যে জোনাকি পোকা জলছে তা তখন জ্ঞান নেই। সেই সেবার কোন্নগরে আমি কুঁড়েঘর আঁকতে শিখি। তখন একটু আধটু পেনসিল নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এটা ওটা দাগি । বাগান থেকে দেখা যেত কয়েকটি কুঁড়েঘর। কুঁড়েঘরের চালাটা যে গোল হয়ে নেমে এসেছে তা তখনই লক্ষ্য করি। এর আগে আকতুম কুঁড়েঘর— বিলিতি ড্রইং-বইয়ে যেমন কুঁড়েঘর আকে। দাদাদের কাছে শিখেছিলুম এক সময়ে। বাংলাদেশের কুঁড়েঘর কেমন তা সেইবারই জানলুম, আর এ পর্যন্ত ভুল হল না। কোন্নগরে কতরকম লোক আসত। এক নাপিত ছিল, সে পোষা কাঠবেড়ালির ছানা দিত ; খালি বাবুইয়ের বাস জোগাড় করে এনে দিত। কোনোদিন বহুরূপী এসে নাচ দেখাত। কত মজাশ কিছু কিছু পড়াশুনোও করতে হত, শুধু খেলা নয়। গোকুলবাবু পড়া নিতেন আমাদের, বাংলার ইতিহাস মুখস্থ করাতেন। টেবিলের উপরে একটি কাচের গেলাসে আফিমের বড়ি ভিজছে, জলট লাল হয়ে উঠেছে ; ওদিকে মা, ওঁর বারান্দার বাইরে ছোটে। চালাঘরে রায় করছেন। বাবামশায়রা কাঠালতলায় গল্পগুজব করছেন, চৌকি পেতে বসে। আমরা মুখস্থ করছি বাংলার ইতিহাসে সিরাজদৌল্লার আমল। একদিন রীতিমত প্রশ্ন লিখে বাবামশায়ের সামনে আমাদের পরীক্ষা দিতে হল ; সেই পরীক্ষায় জানো আমি ফাস্ট প্রাইজ পেয়ে গিয়েছিলুম সমরদাকে টেক দিয়ে, চালাকি নয়। পেয়েছিলুম মস্ত একটা বিলিতি অর্গ্যান বাজনা, এখনো তা আছে আমার কাছে। গানও শিখেছিলুম তখন একটি ওই বুড়ে চাটুজে মশায়ের কাছে। হায়রে সাহেব ৰেলাকরূ. चाभि श्राई cषांब, छूहे बाष्ट्रब्र शब्। 3е е