পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে বললে, ‘এগুলোর ধুলো ঝেড়ে রাখি ?

  • তা রাখে। ’

সে ধুলে ঝাড়ে, তাতে হাত বোলায়। বলি, পুতুল নিবি একটা ? 'না, পুতুল দিয়ে কী করব ? আমায় হুড়িগুলো বরং দাও।” ‘কী করবি তুই ? ‘ভাইকে দেব, ঘুটি খেলাবে ? কোনোদিন চায় পুরোনো খবরের কাগজ ; বাপকে দেবে, বাপ ঠোঙা কবে বাজারে বেচবে। কোনোদিন বা চায় পুরোনো টিনের কেীট , মাকে দেবে, মা মসলাপাতি রাখবে। এমনি রোজই আসে । হঠাৎ আসে নিঃশব্দে, বুঝতে পারি নে কোথা দিয়ে আসে। বিনি পয়সার খেলুড়ি ফেলা নিঃসঙ্গ দিনের, মানুষের মধ্যেও সে ফেলা, কাঠকুটরে ছেড়া টুকরো কাগজেরই সামিল যত ফেলা জিনিস কুড়িয়ে বাড়িয়ে একবুড়ো আর এক মেয়ে খেলা জুড়েছি সেই দক্ষিণের বারান্দায় । একদিন ফেলা বললে, “তোমাদের বাড়ির ভিতরটা দেখাবে আমায় ?” ‘দেখবি ? রাধুকে ডেকে বললুম, ‘নিয়ে যা একে বউমার কাছে, বাড়ির ভিতর দেখতে চায় ।” বউমা আবার তাকে একপেট খাইয়ে দিলে। সে পাক শিন্নির মতে সব ঘুরে ঘুরে দেখে ফিরে এল । বললুম, দেখা হল, ফেলাবতী, বাড়ির ভিতর ? বললে, ‘হ্যা।’ তবে এবার তুই বাড়ি যা, আমিও উঠি, নাইতে খেতে হবে।’ দক্ষিণের বারান্দায় সেই শেষ প্রবেশ ফেলাবতী ও আমার । তার পব অসুখে পড়লুম। সেই অবস্থাতেই শুনি দক্ষিণের বারান্দা বিকিয়ে গেছে মারোয়াড়ীদের হাতে। রোগী আমি, একটা মাস মেয়াদ পেয়েছি আব এ বাড়িতে থাকবার । R&S