বেলায়। সেবারে কী হয়েছিল— এই ভাবুকতার জন্য কেমন তাড় খেয়েলি দুটো ছেলে। রবিক বেঁচে, এসেছি এখানে। ভোরবেল সূর্য ওঠবার আগেই খোয়াইর দিকে ছুটতুম | একদিন ছুটছি, ছুটছি, তাল গাছ পেরিয়ে গেলুম, খেজুর গাছ দুটোও পেরিয়ে গেলুম, শর গাছের ঝোপগুলির কাছাকাছি এসেছি —দুটো ছেলে, তারাও বুঝি বেড়াতে বেরিয়েছে, বললে, ‘ফিরে দেখুন কী সুন্দর স্বর্য উঠেছে। আমি তখন হন হন করে হাটছি। দিলুম এক তাড়া মেরে, “যা যা: ! কী সুন্দর স্বর্য উঠেছে। তোরা দেখ গে, আমি বলে ಣೆ হয়রান । ফিরে এলুম, দেখি রবিক বসে আছেন চা আগলে নিয়ে । তাড়াতাড়ি এসে বসলুম টেবিলে । রবিক বললেন, ‘কোথায় গিয়েছিলে তুমি ? এ দিকে আমি চা নিয়ে বসে আছি তোমাব জন্যে । নাও, খাও ’ বলে এটা এগিয়ে দেন, ওটা এগিয়ে দেন । রবিকার সামনে বসে খাওয়া, সে কী ব্যাপার জানই তো । তার পর চায়ের সঙ্গে আমার একটু কটি চলে শুধু । রবিক বললেন, একটু গুড় খাও দেখি নি। গুড়টা ভালো জিনিস। সঙ্কালবেল গুড় ! মহা মুশকিল, এ দিক ও দিক তাকাই, রবিকা আবার মস্ত একটি কেক এগিয়ে দিলেন, খাও ভালো করে । একটা ছুরি দিয়ে এক টুকরো কেক কেটে নিয়ে বাকিটা আস্তে আস্তে ঠেলে দিলুম অ্যাণ্ডজের দিকে। অ্যাণ্ডজ দেখি সবটাই শেষ কবে, দিলেন । বেশ খেতে পারতেন। যাক, সকালের ফাড়া তো কাটল । প্রতিমাকে বললুম, প্রতিমা, যে কয়দিন আছি ভোরের চ-টা তোব কাছেই খাইয়ে দিস। কেন আর বারে বারে থামায় সিংহের মুখে ফেলা।’ তার পরদিন থেকে সকালে উঠে তাড়াতাড়ি প্রতিমার কাছে চী খেয়েই বেড়াতে বের হতুম। ফিরে আসতেই রবিক বলতেন, ‘অবন, চী খেলে না তুমি ? মাথা চুলকে বলতুম, প্রতিমা খাইয়ে দিয়েছে।’ মুচকে হেসে তিনি বলতেন, ‘ও, বুঝেছি।’ তখন ছেলেরা ওইরকম সেটিমেণ্টাল ছিল—ওঃ, কী চমৎকার স্বর্যোদয় এখানে, আহা-হা ! যেন আর কোথাও নেই এমন জিনিস। এরই আর-একটা গল্প শোনো । সেই বারেই কারপ্নেও আছে এখানে । বিকেলে এই রাস্তার উপরেই টেবিল পড়ে। সবাই বসে চ খাই । চা খেয়ে কারপ্লে ও আমি ঘুরে বেড়াই। একদিন বিকেলে রোজকার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি আমরা দুই আর্টিস্টে, নানা বিষয় নিয়ে নানা আলাপ করছি। ও দিক থেকে একটি হালকা কুয়াশার ૨૯ છે
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।