প্রিন্সিপাল হলুম, চার দিকে নাম রটতে লাগল, তখন মা বললেন, “আমি ভয় পেয়েছিলুম যে কিছুই তোর হল না । এখন মনে হচ্ছে যে কিছু-একটা হলি তবুও ' স্বমধুর স্মৃতি তেমন ছিল না জীবনে । তবে কবির সঙ্গ পেয়েছি, সেই ছিল জীবনের একটা মস্ত সম্পদ। মাও বুঝতেন, বলতেন, ‘রবির সঙ্গে আছিল, বড়ো নিশ্চিন্ত আমি ।’ > S. কর্মজীবন বলে আমার কিছু নেই, অতি নিষ্কর্ম মানুষ আমি । নিজে হতে চেষ্টা ছিল না কখনো কিছু করবার, এখনে নেই। তবে খাটিয়ে নিলে খাটতে পারি,এই পর্যন্ত । তাই করত, আমায় সবাই খাটিয়ে নিত । বাড়িতে কোনো ক্রিয়াকর্ম হলে সহজে হাত লাগাতুম না কিছুতেই । কিন্তু যদি কোনো কাজের ভার পড়ত ঘাড়ে, নিখুত করে সেই কাজ উদ্ধার করে দিতুম। হাভেল সাহেব বসিয়ে দিলেন আর্টস্কুলে । ছাত্র ধরে দিলেন সামনে ; বললেন, "আঁকো, আঁকাও । ভার মধ্যে আর-একটা মানেও ছিল । বলতেন অনেক সময়েই, ‘ভালো ঘরের ছেলের যদি আর্টের দিকে বোকে, পাবলিকের নজর পড়বে এ দিকে । দেশের লোক তোমাদের কথায় বেশি আস্থা রাখবে ।” নেহাত মিছে বলতেন না। নয়তো তখনকার আর্টস্কুল সম্বন্ধে লোকের ধারণা বদলতি না । আর্ট সোসাইটি খুলে উড রফ ব্লান্টও খাটিয়ে নিতেন আমায় । রাজ এলেন, ময়দানে মস্ত প্যাণ্ডেল তৈরি হল, রাজার বসবার মঞ্চ উঠল । উডরফ বললেন, "মঞ্চের চার দিকে তোমায় একে দিতে হবে।’ পি. ডবলিউ ডি'র লোকেরাই ফ্রেমে কাপড় লাগিয়ে সব ঠিকঠাক করে এসে ধরলে সামনে । লাগিয়ে দিলুম ছাত্রদের, নিজেও হাত লাগালুম ; হয়ে গেল মঞ্চ-ডেকোরেশন ; রাজার সিম্বল দিয়ে ছবি একে দিয়েছিলুম, খুব ভালো হয়েছিল। হাজার বারোশো টাকাও পাওয়া গিয়েছিল। পরে রাজা চলে গেলে সেই ছবিগুলো বর্ধমানের রাজা কিনে নিলেন ছশো টাকা দিয়ে, নিয়ে তার কান-এক ঘর সাজালেন। আমাদের ভালোই হল। এ হাতেও টাকা পেলুম, ও হাতেও টাকা পেলুম ; সব টাকা ভাগাভাগি করে বেঁটে দিলুম ছাত্রদের। আমাকে ३€ १ी, • רצוג איי •
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।