পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যুর পরে কাগজপত্র হাত করে টাকাও আত্মসাৎ করবার চেষ্টায় আছে। আমি তো তখনি তাকে হাকিয়ে দিলুম, বললুম, কে তুমি ? তোমায় জানি নে শুনি নে, টাকা দিতে যাব কেন ? যদি তোমার ভাইয়ের ছেলেপুলে থাকে বা তার স্ত্রী আসে তবে দেখতে পারি। সে তাড়া খেয়ে ভাগল । তার কিছুদিন পরে সেই লামার বুড়ি স্ত্রী এল, পাহাড়ি মেয়ে। আগেও দেখেছি তাকে দু-একবার লামার সঙ্গে। সে এসেই তো খুব দুঃখ করলে তার স্বামীর জন্যে, বেচারা দেখতেও পায় নি শেষ সময়ে। তারও শরীর অসুস্থ ছিল, এতদিন তাই আসতে পারে নি। স্বামী নানা দেশবিদেশে জিনিসপত্তর বিক্রি করত, নানা জায়গায় টাকা পড়ে আছে তার। বললুম, কদিন আগে তার ভাই এসেছিল যে টাকার জন্য । আমি দিই নি । সে বললে, ‘তা দাও নি, বেশ করেছ। আমি এসেছি তোমাদের কার কাছে তার কী জিনিসপত্তর আছে সেই খোজে। তোমার কাছে তো সে খুব আসত, তুমি জান, কোথায় কী দিয়ে গেছে শেষবার । আমি বললুম, শেষবারে সে কতকগুলি কাণ্ডুরের পুথি এনেছিল । আমি তাকে হরিনাথ দের কাছে পাঠিয়েছিলুম। পরে খোজ নিয়ে জেনেছিলুম, তিনি সে পুথিগুলি খুব দাম দেবেন বলেই রেখেছিলেন । সেও ফিরে এসে নেবে বুলে যায়। তুমি সেখানে গিয়ে খোজ করে, পাবে ।’ সে বললে, আমি গিয়েছিলেম সেখানে কিন্তু তার কেউ সে পুথির সন্ধান দিতে পারে নি। হরিনাথ দে মারা গেছেন । পুথি যে কী হল কেউ জানে না । বহু পরে আমি সেই পুথি দেখি, সাহিত্যপরিষদে । দেখেই চিনেছি— আমার হাত দিয়ে গেছে পুথি, আর আমি চিলব না ! যাক সে কথা, মেয়েটি তে তার দাম বা সন্ধান কিছুই পেলে না। আমি বললুম, “আমাকে দিয়ে গিয়েছিল সেবারে সে এই আংটির পলাটি, এটির দাম আমি তাকে দিয়েছি। আর দিয়েছিল একটি নাসদানি, দাম নেয় নি, ফিরতি পথে নেবে বলেছিল , কিন্তু সে তো আর এল না এ পথে, তুমি সেট নিয়ে যাও। শুনে বুড়িটি অনেকক্ষণ চোখ বুজে চুপ করে রইল। পরে বললে, ‘আমি তো সব জানি । সেই নাসদানটি একবার দেখতে চাই । দেখাবে ? বললুম, তা তো এখানে নেই, বিকেলে আমার বাড়িতে এসো তা হলে । বাড়ি সে চিনত । বিকেলে এল, আমিও ফিরেছি কাজ সেরে। অলকের মা সিন্দুকে তুলে સ્વછ a