পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলেই মারা পড়েছি। চিরকালের ভীতু আমি, ভয় পেয়েছিলুম বৈকি একট। পথে-বিপথের জাহাজী গল্পগুলি আমি তখনই লিখি। স্টীমারের সেইসব ক্যারেকৃটারই গেথে গেথে দিয়েছি তাতে । অনেকদিন বাদে ভীত্রের ভর গঙ্গার ছবি এঁকেছিলুম দু-চারখানি। একৃজিবিশনে দিয়েছিলুম, কোথায় গেল তা কে জানে। একখানি মনে আছে, রুমানিয়ার রাজা নিলেন। গঙ্গার ছবি রুমানিয়ার রাজা নিয়ে চলে গেলেন, দেশী লোকের নজরই পড়ল না তাতে অথচ 'মা গঙ্গা’ ‘মা গঙ্গা’ বলে আমরা চেচিয়ে আওড়াই খুব— বন্দ্য মাতা স্বরধুনী, পুরাণে মহিমা শুনি, পতিতপাবনী পুরাতনী । আর ডুব দিয়ে দিয়ে উঠি আমাদের সেই ডাবির ঘোড় ওঠার মতন। ף צ ছবি আঁকা শিখতে কদিন লাগে ? বেশি দিন না, ছ মাস, আমি শিখিয়েছিও তাই। ছ মাসে আমি আর্টিস্ট তৈরি করে দিয়েছি। এর বেশি সময় লাগা উচিত নয়। এরই মধ্যে যাদের হবার হয়ে যায়— আর যাদের হবে ন। তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত। হ্যা, মানি যে ডিম ফুটে বাচ্চ বের হতে একটা নির্ধারিত সময় লাগে– তার পরে, ব্যস, উড়ে বাও, হাসের বাচ্চ৷ হও তো জলে ভাসে। ছবি অঁাকবে তুমি নিজে, মাস্টারমশায় তার ভুল ঠিক করে দেবেন কী ? তুমি যেরকম গাছের ডাল দেখেছ তাই একেছ । মাস্টারমশায়ের মতন ডাল অঁাকতে যাবে কেন ? তরকারিতে নুন বেশি হয়, ফেলে দিয়ে আবার রান্না করে ; পায়েসে মিষ্টি কম হয়, মিষ্টি আরো দাও । ছবিতেও ভুল হয়— ফেলে দিয়ে আবার নতুন ছবি আঁকে। বারে বারে একই নিয়ম নিয়ে আঁকে। আমি হলে তো তাই করতুম । ছবিতে আবার ভুল শুধরে দিয়ে জোড়াতাড়া দেওয়া ও কিরকম শেখানো ! দরকার হয়, আর-একটু হল দিতে পারে। দরকার হয়, একটু চিনি তাও দিতে পারে। কিন্তু গাছের ডালট এমনি হবে, পাট এমনি করে আঁকতে হবে, এরকম করে শেখাবার আমি মোটেই পক্ষপাতী নইণ আমি নন্দলালদের অমনি করেই শিখিয়েছি। তৰে ছাত্রকে সাহস দিতে হয়। তাঁদের বলতে হয়, এ কে যাও, কিছু এ দিক ও দিক হয় তো আমি আছি। .