মেম মিসেস মার্টিনডেল খবর পেয়ে লিখলেন, ‘তুমি তারই নাতি ? বড়ো খুশি হলুম। র্তার সঙ্গে আমার বড়ো ভাব ছিল। তোমার বিয়েথাওয়া হয়েছে ? তোমার মেয়ের জন্য আমি একটা পুতুল পাঠাচ্ছি। ব’লে প্রকাও একটা বিলিতি ডল নেলিকে পাঠিয়ে দিলেন । তিনি তখন খুবই বুড়ে হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কিরকম আশ্চর্য র্তার মন ছিল ; কোন কালে আমার ছোটোদাদামশায়ের সঙ্গে তার ভাব ছিল, সেই সূত্রে আমাকে না দেখেও তিনি নগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি বলেই স্নেহ করতে চাইতেন । তিনি বিলেত থেকে লিখলেন, ‘তোমার আর্টের দিকে বেীক আছে—আমিও একটু আধটু আকতে পারি। বলে তোমার জন্য আমি কিছু করতে পারি কি না।’ তিনি আরো লিখলেন, ‘তুমি যদি কিছু দাও তো চার দিকে ইলুমিনেট করিয়ে দিতে পারি।’ বইয়ের লেখার চার দিকে নকশা খুব পুরোনে আর্ট ওঁদের, তাই একটা একে পাঠাবেন। ভাবলুম, তা মন্দ নয় তে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি গরিব, এজন্য কিছু দিতে হবে।’ পাঠিয়েছিলুম কিছু, দশ কি বারো পাউণ্ড মনে নেই ঠিক। আইরিশ মেলডিজের কবিতা ছোটোদাদামশায়ের বড়ে প্রিয় জিনিস ছিল। ভাবলুম সেটাই যত্ন করে রাখবার বস্তু হয়ে অস্থিক । কিছুকাল বাদে তিনি পাঠিয়ে দিলেন দশ-বারোখানা বেশ বড়ো বড়ো ছবি—সে কী কুন্দর, কী বলব তোমায়। থ হয়ে গেলুম ছবি দেখে । , আবার হবি তো হ সেই সময় আমার ভগ্নীপতি শেষেন্দ্র, প্রতিমার বাবা, একখানা পাশিয়ান ছবির বই দিল্লীর—আমাকে বকশিশ দিলেন । রবিকাকাও আবার সে সময়ে রবিবর্ষার ছবির কতকগুলি ফোটে। আমাকে দিলেন। তখন রবিবর্মার ছবিই ছিল কিনা ভারতীয় চিত্রের আদর্শ। যাই হোক, তখন সেই আইরিশ মেলডির ছবি ও দিল্লির ইন্দ্রসভার নকশা যেন আমার চোখ খুলে দিল। এক দিকে আমার পুরাতন ইউরোপীয়ান আর্টের নিদর্শন e আর-এক দিকে এ দেশের পুরাতন চিত্রের নিদর্শন। দুই দিকের দুই পুরাতন চিত্রকলার গোড়াকার কথা একই। সে যে আমার কী আনন্দ ! সেই সময়ে ভারতীতে আমার ওই ইন্দ্রসভার বইখানির বর্ণনা দিয়ে ‘দিল্লীর চিত্রশালিক।’ বলে বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ লিখেছিলেন ; চার দিকে তখন একটা সাড়া পড়ে গিয়েছিল। যাক, ভারতশিল্পের তো একটা উদিশ পেলুম। এখন শুরু করা যাবে কী vరి ఆ 8
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।