পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধপাস ধপাস শব্দ, বেহারীদের আট-দশটা পা পড়ছে বালিতে। এক জায়গায় শুনি ঝপ ঝাপ ঝাপ ঝপ, শব্দ । ‘কী হল রে ? ‘বাবু, নিয়াখিয়া নদী আসি গেলাম । "ও, আচ্ছা বেশ।’ নিয়াখিয়া নদী পেরিয়ে এলুম। শেষ রাত, চাদ অস্ত গেল, আবছ। অন্ধকার, সকাল হতে আরো খানিকক্ষণ বাকি। সারা রাত ভয়ে জেগে কাটিয়ে এলুম, এবারে একটু ঘুমও পাচ্ছে। সে সময় ভূতের ভয়ও একবার জেগেছিল মনে । সামনের পালকিগুলো আর দেখা যাচ্ছে না। বেহারাদের ডেকে বলি, ও বেহারা, সব ঠিক আছে তো ? সব ঠিক আছে বাবু, সব ঠিক আছে।’ এমন সময় দেখি, একটা লোক, এক হাতে লাঠি এক হাতে লণ্ঠন, চলেছে আমার পালকির খোলা দরজার পাশে । বলি, ‘ও বেহার, এ কে রে ? ‘আঃ বাৰু, ও দিকে দেখো না, ও সব দেউতা আছে। ব'লে ও দিকের দরজা বন্ধ করে দিলে । , দেউতা বলে ওরা ভূতকে। বলি, ‘ও কী, লণ্ঠন হাতে দেউতা কী করে ? খানিক বাদে দেখি ঘোড়ায় চড়ে একটা সাহেব টুপি মাথায় পাশ কাটিয়ে গেল । ‘বাবু, তুমি শুয়ে পড়ে। ’ বলে শুধু বেহারার। শুনেছিলুম কোন এক মিলিটারিকে ওখানে মেরে ফেলেছিল, ভূত হয়ে সে ফেরে, অনেকেই দেখে । রাত্তির বেলা লণ্ঠন হাতে লোকটাকে দেখে আমার বরং ভালোই লেগেছিল। যাক, এই করতে করতে এসে পৌছলুম সমুদ্রের ধারে কী একটা মন্দিরের কাছে, মেয়ের সব নেমে দেখতে গেল। ছোট্ট একটি পাহাড়ের মতে, তার উপরে ছোটো মন্দিরটি। মণিলাল ছিল সঙ্গে , তাকে বললুম, ঠিক আছে তে৷ সবাই ? এইবার তবে আমি একটু পাশ-মোড় দিয়ে নিই। তার পর আমার পালকি পড়ল গিয়ে একেবারে কোনারকের ধায়ে । সিন্ধুতটে চলেছে পালকি হ হ করে। দরজা খুলে দেখলুম ঢেউগুলো পাড়ে এসে পড়ছে, আবার চলে vరిచి ఆ