পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগন্নাথের মাসির বাড়ি মেরামত হবে। পাণ্ড খবর দিলে, ‘বাবু, দুটাে হরিণ যদি কিনতে চাও মাসির বাড়ির, বিক্রি হবে।’ * বললুম, সে কী রে! পোষা হরিণ সেখানে বড়ো হয়েছে । আমার দরকার নেই সেই হরিণের। ভাঙা মূৰ্তি থাকে তো বল। পাণ্ড বললে, সে কত চাই বাবু বলুন। অনেক মিলবে।’ বললুম, ‘আজই চল তবে সেখানে দেখি গিয়ে।’ গেলুম, তখন সন্ধে বেল। সে গিয়ে যা দেখি ! মাসির বাড়ি যেন ভূমিকম্পে উলটে পালটে গেছে। চুড়োর সিংহ পড়েছে ভুয়ে, পাতালের মধ্যে যে ভিত শিকড় গেড়ে দাড়িয়ে ছিল এতকাল—সে শুয়ে পড়েছে মাটির উপরে, সব তছনছ। বড়ে বড়ো সিংহ নিয়ে কী করব। ছোটোখাটাে মূর্তি পেলে নিয়ে আসা সহজ। ভিতরে গেলুম। সেখানেও তাই। এখানকার জিনিস ওখানে। কেমন একট। হ্রাস উপস্থিত হল। পাণ্ডাকে শুধালেম, এই পাথরের কাজ ঝেড়ে ঝুড়ে পরিষ্কার করে যেমন ছিল তেমনি করে তুলে দেওয়া হবে তো মেরামতের সময় ? তার কথার ভাবে বুঝলেম, এই-সব জগদ্দল পাথর ওঠায় যেখানকার সেখানে, এমন লোক নেই। বুঝলেম এ সংস্কার নয়, সৎকার। ভাঙা মন্দিরে মানুষের গলার আওয়াজ পেয়ে একজোড়া প্রকাও নীল হরিণ চার চোখে প্রকাও একটা বিস্ময় নিয়ে আমার কাছে এগিয়ে এল। কত কালের পোষা হরিণ, এই মন্দিরের বাগানে জন্ম নিয়ে এতটুকু থেকে এত বড়োটি হয়েছে— জাজ এদের বিক্রি করা হবে। আর, এদের সঙ্গে সঙ্গে যে বাগান বড়ো হতে হতে প্রায় বন হয়ে উঠেছে, বনস্পতি যেখানে গভীর ছায়া দিচ্ছে, পাথি যেখানে গাইছে, হরিণ যেখানে খেলছে, সেই বনফুলের পরিমলে ভরা পুরোনো বাগানটা চষে ফেলে যাত্রীদের জন্য রন্ধনশালা বসানো হবে। আমার যন্ত্রণাভোগের তখনো শেষ হয় নি। তাই ঘুরতে ঘুরতে একটা ডবল তালা দেওয়া ঘর দেখিয়ে বললেম, এটাতে কী ? পাও৷ আস্তে আস্তে ঘরটা খুললে, দেখলেম, মার্টিন আর বর্ন কোম্পানির টালি দিয়ে অতবড়ে এত টালি কেন ? ' মাসির বাড়ি ছাওয়া হবে। હરe