পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঃ সর্বনাশ, এরই নাম বুঝি মেরামত ? ভাঙার মধ্যে, ধ্বংসের ভূপে, রস আর রহস্ত নীল দুটি হরিণের মতে বাসা বেঁধে ছিল। সেইবে শোভা, সেই শাস্তি মনে ধরল না ; ভালো ঠেকল দুখানা চকৃচকে রাঙা মাটির টালি ! ভাবলুম, এ ঠেকাতে হবে যে করেই হোক । সময় নেই, পরদিন চলে আসছি কলকাতায় । বাড়ি ফিরে মণিলালের সঙ্গে পরামর্শ করে পুরীর কমিশনারের কাছে চিঠি লিখলুম।— ‘আমি দেখে এসেছি এই কাও, ভ্যাণ্ডালিজমের চূড়ান্ত। যে করে পার তুমি থামিয়ে। ইংরেজ-বাচ্চা, যেমন চিঠি পাওয়া মাসির বাড়িতে নিজে গিয়ে হাজির । তখনই যেখানে যে পাথরটি ছিল তেমনি তুলিয়ে দিয়ে মেরামত করলে নিজে দাড়িয়ে থেকে। কথা রাখলে সে। এই একটা পুণ্যকার্য করে এসেছি পুরীতে বলতে পারে। জগন্নাথের মাসির বাড়ির শোভা নষ্ট হতে বসেছিল আর একটু হলেই। সেবারেই নাচ দেখেছিলুম মন্দিরে দেবদাসীর। নাচ দেখা হয় নি, এ ন৷ দেখে বাওয়া হতে পারে না । নাচ আগে দেখি, পরে খাতায় সই দেব। পাণ্ড৷ কিছুতেই ঘাড় পাতে না, বলে, ‘অনেক টাকা লাগবে।’ বললুম, তা দেওয়া যাবে, সেজন্য আটকাবে না। দেবতার সামনে নাচ দেখব ।’ সইয়ের লোভ, টাকার লোভ ; পাণ্ড রাজি হল অনেক গাইগুই করার পর। বললে, “কাল তবে খুব ভোরে এসে আপনাকুে নিয়ে বাব। তৈরি থাকবেন। ভোরে আমি একলাই গেলুম তার সঙ্গে। তখনো মন্দিরে লোকজনের ভিড় হয়নি, অন্ধকারে দু-একটি মাথা দেখা যায় এখানে ওখানে, বোধ হয় পাণ্ডাদেরই। পাণ্ডা আমাকে নিয়ে নাটমন্দিরে বসিয়ে দিলে। এক পাশে একটি মাদল বাজছে, একটি মশাল জলছে, একটি দেবদাসী নাচছে। দেবদাসী নাচের সঙ্গে ঘুরছে ফিরছে, সঙ্গে সঙ্গে মশালও সেই দিকে ঘুরছে, আলো পড়ছে তার গায়, যেন জগন্নাথ দেখছেন তাকে আর কোনায় বসে দেখছি আমি । কত ভাব জানাচ্ছে দেবতার কাছে । অভিনয়ে নটীর পূজা দেখে ছবি অঁাকে তোমরা । আমি সত্যিসত্যিই দেবমন্দিরের ভিতরে গিয়ে দেবদাসীর নৃত্য দেখেছি। চমৎকার ব্যাপার সে। সেইবারেই ফিরে এসে দেবদাসীর ছবিখানি জাকি। আর আঁকি কাজরী ছবিখানি। তাও দেখেছিলুম পুরীতেই কমিশনারের বাড়িতে। বাগানে পাটি, \రిసి & 飘