স্ব-চারটে ওই ষে পড়ে আছে এখন।' অলকের মা শুনে বললেন, ‘ও আবার কী সব বলছ, চলো চলে এখান থেকে।’ সব ছেড়ে ওই ঘরটার সামনে মন আমার থমকে দাড়াল, যেন মনের পরিচিত। অন্য সব চোখের উপর দিয়ে ভেসে গেল। তাই বলি, পূর্বজন্মের স্বতি থাকে হয়তো। লোকে বলে, যে তারাকে দেখি চোখে সে তারা লোপ পেয়ে গেছে বহু যুগ আগে । তার আলোর কম্পনটুকুই দেখছি আমরা আজ তারারূপে। আমার মনও কি তাই ? প্রাণের সেই বহুযুগ-আগে-লোপ-পেয়ে-যাওয়া কম্পন ধরে দিচ্ছে আজকের ছবিতে লোক-চোখের সামনে। আর্টিস্টের মনের হিসেব আর কাজের হিসেব ধরতে চাওয়া ভুল। 'শাজাহানের মৃত্যুশয্যা – লোকে কেন বলে এত ঠিক হল কী করে ? আমিও ভেবে পাই নে। কী জানি, কোনোকালে কি ছিলুম সেখানে ? বুঝতে পারি নে। যেখানে থাকি, যার সঙ্গে উঠি বসি, বাস করি, তার ছবি আঁকা সহজ। কিন্তু যেখানে যাই নি, যা দেখি নি, সেখানকার এমন সঠিক ছবি আঁকতে কী করে পারলুম ? এমনি হাজার ছবি, হাজার মুখ, মন ধরে রেখে দেয়। অনেক সময় আঁকি, বুঝতে পারি নে আমি আঁকছি কি আর-কেউ আঁকাচ্ছে । এখানে ঘুরে ফিরে সেই কথাই আসে– - কালি কলম মন । লেখে তিন জন । এই তিন নইলে ছবি হয় না। ওরে বাপু,— অঁাখি যত জনে হেরে সবারে কি মনে ধরে ? চোখ যত জিনিস দেখছে সে বড়ো কম নয়। কিন্তু সব কি আর মনে ধরছে ? তা নয়। মনের মতে যা তাই ধরছে, সেইগুলি কাজে আসছে আমাদের ছবিতে। কত লোকজন, কত মুখ, অনেক সময় তারা চোখের উপর দিয়েই ভেসে যায়। সেই জন্যেই বলে— মনেরে না বুঝাইয়ে নয়নেরে দোষে কেন ? vరిష్టాty
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।