আমাদের ইস্কুল-খেলাতেও বালকবালিকাদের কথা ভেবে লেক্চার দিয়েছিলেন। আজও শাস্তিনিকেতনে বসে সে ভাবনা ছাড়তে পারেন নি। তিনি কাকীমাকে (রথীর মা ) দিয়েও অনেক রূপকথা সংগ্রহ করিয়েছিলেন। কাকীমা সেই রূপকথাগুলি একখানি খাতায় লিখে রাখতেন, তাতে অনেক ভালো ভালো রূপকথা ছিল। তার সেই খাতাখানি থেকেই আমার ক্ষীরের পুতুল’ গল্পটি নেওয়া । - এইখানেই রবিকাকার বিশেষত্ব। ছেলেদের নিয়েই তিনি আছেন, শিশুদের ওপরে তার অগাধ টান। এমন-কি, যারা কিছু বোঝে না, সেই খুব-কচি শিশুদেরও জন্তে কী লেখা যেতে পারে তাও তিনি ভাবেন । এ দেশের আগেকার আর কোনো কবির সম্বন্ধে এ কথা বোধহয় বলা যায় না । কিন্তু কবিদের জীবন এইরকম হওয়া উচিত— রামধনুর সাতটি রঙের ভিতর দিয়ে তার গতি । সব-বয়সের মানুষ নিয়েই কবিদের থাকতে হবে। সকলের সহিত যে চলতে পারে তাই হচ্ছে সাহিত্য, আমার এই মত। আর্টিস্টদের সম্বন্ধেও ওই কথা । আমি তাই নন্দলালকে মাঝে মাঝে বলি, "ছেলেদের জন্যে তুমি কী করলে ? ছেলেদের ছেড়ে কবি হওয়া যায় না। এখনে এ দেশে ছেলেমেয়েদের মনোমতো নাটক কি অপেরা কেউ লিখলে না। এক রবিকাকার ‘ডাকঘর’, ‘বাল্মীকি-প্রতিভা", আর হেঁয়ালি-নাট’, ‘তাসের দেশ’ ইত্যাদি ছাড়া আর কই কে লিখেছে বলে ? \©ዊ e
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।