বড়ো জ্যাঠামশায় । ভাই সরল ‘মুপ্তিতে ডুবিয়া গেল জাগরণ— সাগর সীমায় যথা অস্ত যায় জলন্ত তপন । স্বপন-রমণী— আইল অমনি— নিঃশব্দে যেমন সন্ধ্যা— করে পদার্পণ । বড়ো জ্যাঠামশায়ের ‘স্বপ্ন-প্রয়াণে'র এই কটি ছত্র কবিতা— নয় বৎসর বয়সে আমার কাছে যেমন মনোহারী ছিল আজ পঞ্চান্ন বৎসরেও ঠিক তেমনি বুয়েছে। জীবনের প্রাতঃসন্ধ্যায় যে স্বপ্ন-পুরে নিয়ে গিয়েছিল মনকে টেনে এই কবিতা, আজও সায়ংসন্ধ্যায় এই কবিতারই ছন্দ ধরে গিয়ে উপস্থিত হল মন সাগরতীরে স্বপ্ন-পুরের দরজায়। আমার আজ মনে পড়ছে জ্যাঠামশায়ের তেতলার . ঘরের সামনের ছাদে দুপুর বেলার রোদ পড়েছে, আমরা ছোটো ছোটো সবাই ছেলে ছাদের পাচিল বেয়ে বাড়ির এ-মহল থেকে ও-মহলে খাবার চুরি করতে চলেছি, সেই সময় জানলার ফ্রাকে কোনোদিন দেখা যেত জ্যাঠামশায় বই লিখছেন নয়তো— গান রচনা করছেন— কিংবা কালে রঙের একটা বাঁশি বাজাচ্ছেন– তখন মনে হত আমরাও কবে অমনি বড়ে হব, বই লিখব, গান গাইব । সেদিন আবার যখন আমারো চুল পেকেছে, হাতের লেখা রঙিন হয়ে ফুটেছে, স্বরে-বেহরে বঁাশিও বেজে গেছে— সেই আর-এক সন্ধ্যায় বোলপুরে শাস্তিনিকেতনে গিয়ে দেখলেম জ্যাঠামশায় ঠিক সেইভাবে একলা চৌকিতে বসে লিখছেন আর আমাদেরই মতো গোটাকতক দুষ্ট ছেলে আর দুষ্ট পাখি কাঠবেড়ালী কাক তার কেউ ঘরের দাওয়ায় কেউ খিড়কির বাগানে ঘুরু ঘূর করছে। ছোটোতে আর বড়োতে শৈশবে অরি বার্ধক্যে এমন স্বন্দর মিলনস্মৃতি বড়ো দুর্লভ, মানিকের মতো আমার বুকের কোঁটাতে ধরে দিয়ে গেছেন আমার— জ্যাঠামশায়, সে কোঁটা সবার সামনে খুলতে নেই, সব সময়েও খুলতে নেই। র্যার লেখার মধ্যে দিয়ে আমি আমার নিজের ভাষা খুঁজে পেলেম তাকে স্বপ্নলোকের পরপারে গিয়েও মন আমার প্রণতি দিয়ে এল এইমাত্র। - cडांशांत्रेि जसमाrांग WO4()
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।