স্বর্গগত শ্রীমদ ওকাকুরা আমাদের দেশে যেমন, জাপানেও তেমনি একদিন পাশ্চাত্ত্য শিল্প জাপানবাসীর সনাতন সভ্যতার পূর্বভাবটুকু ঘুচাইয়া দিয়া জাপান শিল্পকলার যে অবশুম্ভাবী পতনের সূত্রপাত করিয়াছিল তাহা হইতে উদ্ধার করিয়া স্বদেশের শিল্পকে যথাস্থানে অটল অচল বজ্রাসনে নূতন করিয়া প্রতিষ্ঠিত করিয়া গেলেন মহামনা আচার্য ওকাকুরা। কী বিরাট মানসিক শক্তি লইয়া, স্বজাতীয় শিল্পে কী অচলা ভক্তি প্রগাঢ় আস্থা লইয়াই এই মহাপুরুষ কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । জাপানের রাজাপ্রজা যখন শিল্পে পাশ্চাত্ত্য প্রথার বহুল প্রচারে বন্ধপরিকর, যখন জাপানে ভাবস্রোতে নব্যতার একটা প্রবল আকস্মিক আঁকর্ষণে পশ্চিমের দিকে বিপরীতমুখী হইয় প্রলয়কল্পোলে করাল অনির্দিষ্টের দিকেই বহিয়া চলিয়াছে, সেই দুর্দিনে এই মহামন দৃঢ়চেতা উদ্যমশীল পুরুষ নিজের পদ মান সকলি তুচ্ছ করিয়া বন্যার মুখে অটুট অভেদ্য বাধের মতে আপনার সমস্ত সংকল্প, সমস্ত উদ্যম আশা বিস্তৃত করিয়া এক দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। এই মহাক্ষণে শিল্পাচার্য ওকাকুরাকে অনুসরণ করে এমন সাহস কাহারও হয় নাই। জাপানের সেই কালরাত্রির অন্ধকারপটে ওকাকুর সেদিন তমোহনী পূর্ণচন্দ্র রূপে প্রকাশ পাইলেন। ওকাকুর ছিলেন ক্ষত্রিয়সস্তান। বিপুল বাধা দলিত করিয়া স্বদেশের শিল্পকে স্বধর্মে প্রতিষ্ঠিত করিতে অগ্রসর হইয় নিজের অন্তর্নিহিত ক্ষত্রিতেজেরই পরিচয় দিয়া গেলেন। রাজ-অনুগ্রহ, সন্মান, সন্ত্রম ইত্যাদির প্রবল আকর্ষণ সত্ত্বেও তিনি পাশ্চাত্ত্যপন্থী শিল্পীকুলের অধ্যক্ষত ছাড়িয়া যেদিন জাপানের সরকারি শিল্পশাল হইতে স্ব-ইচ্ছায় নিজেকে নির্বাসিত করিয়া দিয়াছিলেন সেদিন জাপানের পক্ষে শুভদিন বলিতে হইবে। কেননা ইহারই ছয় মাসের মধ্যে শ্রীমদ ওকাকুর প্রমুখ চারিংশ শিল্পমহারথী র্তাহীদের নব্যপ্রতিষ্ঠিত শিল্প-বিদ্যালয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা-রূপ মহাযজ্ঞে নিজেদের সর্বস্ব আহুতি এান করিলেন এবং তাঁহাতেই লোত কিয়ি গেল ও জাপানে স্থান 9铲电
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।