পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় চিত্রকলার প্রচারে রামানন্দ ঠিক কোন সাল— তা মনে পড়ছে না— আমি তখন এলাহাবাদে লম্বা ছুটি কাটাচ্ছি ; সঙ্গে মাও আছেন। চার্চ রোডে মস্ত একট। বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কুইন ভিক্টোরিয়া সেই বছরেই মারা যান। কয়দিন থেকেই খবরের কাগজে তার অসুখ অসুখ শুনি । তা যাবার পথে কি কলকাতায় চলে আসবার মুখে– মনে নেই– কোকামা স্টেশনে দেখি এঞ্জিনগুলো সব কালো বনাতে মোড়া— গার্ড স্টেশনমাস্টার সকলের গায়ে কালো কোট ; চার দিকেই কালো কালো সব ঘুরঘুর করছে। কী ব্যাপার ? মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করি গার্ডকে— কী হল কী ? তারই মুখে জানতে পারি কুইন ভিক্টোরিয়া মারা গেছেন। সেই বছরেই আমার রামানন্দবাবুর সঙ্গে আলাপ । ‘রাজকাহিনী’ তখনকার লেখা। একটা করে গল্প লিখি আর বাড়ির ছেলেদের পড়ে শোনাই। দুরন্ত শীত। সকাল বিকেল হেঁটে বেড়াই। একদিন সকালে বেড়াতে বেরিয়েছি— খানিকট যাবার পর দেখি এক ভদ্রলোক —মাথায় কালে কোকড় চুল, কালে লঘু দাড়ি— গলায় মাথায় কানটেকে কল্ফার্টার জডানো—গৌরবর্ণ— শাস্ত সৌম্য• চেহারা— এগিয়ে এসে বললেন, নমস্কার, আমি রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়।’– ও, নমস্কার। আপনার নাম শুনেছি আগে । কোথায় আপনার বাড়ি ? তিনি বললেন—‘এই কাছেই ।” বললুম—বেশ তো, চলুন আপনার বাড়িতে বসেই গল্প করা যাক। দুজনে মিলে গেলুম তার বাড়িতে। ভরদ্বাজ মুনির আশ্রমের কাছে— একটা বড়ে চার্চের পিছনে বাংলো-ধরনের একটি স্বন্দর বাড়ি। সীতা শাস্তা কেদার অশোক ওরা তখন খুব ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ে— সামনে খেলা করছে। বড়ে ভালো লাগল। দেখেই মনে হয়— যেন স্বর্থী পরিবার একটি। র্তার স্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হল। অতি ভালোমানুষ ছিলেন তিনি। সেইখানেই রামানন্দবাবুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বললেন— প্রবাসীটা সচিত্র কাগজ করতে চাই।’ বললুম— সে তে ভালো কথা। oפS\