কটা লোকই-বা আসত। যারা যারা ছবি কিনত— ছবি ঘরে নিয়ে রেখে দ্বিত। ব্যস ওই অবধি। কিন্তু রামানন্দবাবুর কল্যাণে আমাদের ছবি আজ দেশের ঘরে ঘরে। এই যে ইণ্ডিয়ান আর্টের বহুল প্রচার— এ এক তিনি ছাড়া আর-কারো দ্বারা সম্ভব হত না । আর্ট সোসাইটি পারে নি। চেষ্টা করেছিলুম। হল না। রামানন্দবাবু একনিষ্ঠ ভাবে এই কাজে খেটেছেন— টাকা ঢেলেছেন—চেষ্টা করেছেন— পাবলিকে ছবির ডিমাণ্ড ক্রিয়েট করিয়েছেন। তিনি ছাড়া আরো তিনটে জিনিস হত না এ দেশে । কালার্ড, প্রিন্টের আজ এতখানি উন্নতি হত না, হাফটোনও নয়— আর মাসিক কাগজও এই আলোতে আসত না । আর্ট সোসাইটিরও এই উদ্দেশুই ছিল বটে— ইণ্ডিয়ান আর্টের প্রচার করা। কিন্তু তুার কারে দ্বারা তা তো সম্ভব হল না। আমরা ছবি আঁকিয়ে ছেড়ে দিতুম— উনি ঘুরে ঘুরে কোথায় কী করতে হবে, কাকে দিয়ে করাতে হবে, কী করে গরিবরও ঘরে ঘরে দেশ-বিদেশে সর্বত্র ছবির প্রচার করতে হবে, সবই নিজে করতেন। এ আমরা কখনোই পারতুম না। তিনিই হাত বাড়িয়ে এই ভার তুলে নিলেন । আজ বুঝতে পারি— আমাদের আর্ট ও আর্টুিন্টদের কতখানি কল্যাণ তিনি করে দিয়ে চলে গেলেন। " e দেশের আট ও আর্টিস্টদের জন্য র্তার মনে কতখানি দরদ ছিল— চিরকাল এ কথা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মনে রাখব। - ७०*२
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।