পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থস্থচনায় শ্রীমতী রানী চন্দ ‘ঘরোয়া’-রচনার ; এই ইতিহাস বিবৃত করেন : গত পুজোর ছুটিতে গুরুদেব যখন জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অস্বস্থ, আমরা অনেকেই সেখানে ছিলুম তার সেবাশুশ্রুষার জন্য । আস্তে আস্তে গুরুদেবের অবস্থা যখন ভালোর দিকে যেতে লাগল সে সময়ে প্রায়ই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় আমাদের নিয়ে নানা গল্পগুজব করে আসর জমাতেন। র্তার গল্প বলার ভঙ্গী যে না দেখেছে, ভাষা যে না শুনেছে, সে তা বুঝবে না, লিখে তা বোঝানো অসম্ভব। কথায় কি ভঙ্গীতে কোনটাতে রস বেশি বিচার করা দায়। নানা প্রসঙ্গে নানা গল্পের ভিতর দিয়ে অনেক মূল্যবান কথা, ঘটনা শুনতাম। দুঃখ হত, লিখতে জানি নে, তবুও এ-সব অমূল্য কাহিনী কেউ জানবে না, নষ্ট হয়ে যাবে, এ সইত নী—খাতার পাতায় অবসর-সময়ে লিখে রেখে দিতুম। আশা ছিল, একদিন একজন ভালো লিখিয়েকে দিয়ে এগুলো সবার সামনে ধরবার উপযোগী করা যাবে। নভেম্বরের শেষে গুরুদেবকে নিয়ে দলবল শান্তিনিকেতনে ফিরে এল । আমাদের কয়েকজনের মধ্যে সময় ভাগ করা ছিল, যে যার সময়মত গুরুদেবের কাছে থাকি, তার সেবা করি। মাস দুয়েক বাদে গুরুদেব অনেকটা স্বস্থ হয়ে উঠলেন—তখন প্রায়ই তিনি দক্ষিণের বারান্দায় বসে কবিতা -লিখতেন। আমাদের বেশি কিছু করবার থাকত না । কাছাকাছি বসে থাকতুম, সময়মত ওষুধ-পথ্য প্লাওয়াতুম। সে সময়ে গুরুদেব আমাকে বলতেন, ‘রানী, তুই একটু লেখার অভ্যেস কর-না। কিছু ভাবিস নে—বেশ তো, যা হয় একটা-কিছু লিখে আন, আমি দেখিয়ে দেব। এই রকম দু-একবার লিখলেই দেখবি লেখাটা তোর কাছে বেশ সহজ হয়ে আসবে। চুপচাপ বসে থাকিস—আমার জন্য কত সময় তোদের নষ্ট হয়—আমার ভালো লাগে না।’ একদিন তাকে বললুম, নিজে লিখবার মতো কিছুই খুজে পাচ্ছি না, ও আমার হবে না। তবে একটা ইচ্ছে আছে—এবারে অবনীন্দ্রনাথের কাছে গল্পচ্ছলে অনেক মূল্যবান কাহিনী ও কথা শুনেছি, যা আমার মনে হয় পাচজনের জানা দরকার, বিশেষ করে শিল্পীদের। সেই লেখাগুলো 9 e &