পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রথীদা লেখাগুলো নিয়ে চলে গেলেন। এই হলো ‘ঘরোয়া’ বইখানার জন্মকথা । রবীন্দ্রনাথ ‘ঘরোয়া’র জন্য ছোটে। একটি ভূমিক। লিখে দেন। ভূমিকায় তিনি লেখেন : আমার জীবনের প্রান্তভাগে যখন মনে করি সমস্ত দেশের হয়ে কাকে বিশেষ সম্মান দেওয়া যেতে পারে তখন সর্বাগ্রে মনে পড়ে অবনীন্দ্রনাথের নাম । তিনি দেশকে উদ্ধার করেছেন আত্মনিন্দ থেকে, আত্মগ্লানি থেকে তাকে নিষ্কৃতি দান করে তার সম্মানের পদবী উদ্ধার করেছেন । তাকে । বিশ্বজনের আত্ম-উপলব্ধিতে সমান অধিকার দিয়েছেন । আজ সমস্ত ভারতে যুগান্তরের অবতারণা হয়েছে চিত্রকলায় আত্ম-উপলব্ধিতে। সমস্ত ভারতবর্ষ অfজ তার কাছ থেকে শিক্ষাদান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের এই অহংকারের পদ তারই কল্যাণে দেশে সর্বোচ্চ স্থান গ্রহণ করেছে । " একে যদি আজ দেশলক্ষ্মী বরণ করে না নেয়, আজও যদি সে উদাসীন থাকে, বিদেশী খ্যাতিমানদের জয়ঘোষণায় আত্মবিমান স্বীকার করে নেয়, তবে এই যুগের চরম কর্তব্য থেকে বাঙালী ভ্রষ্ট হবে। তাই আজ আমি র্তাকে বাংলাদেশে সরস্বতীর বরপুত্রের আসনে সর্বাগ্রে আহবান করি । শান্তিনিকেতন . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩ই জুলাই ১৯৪১ ‘ঘরোয়া’র পাণ্ডুলিপি পড়ে রবীন্দ্রনাথ অবনীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন : অবন, কী চমৎকার—তোমার বিবরণ শুনতে শুনতে আমার মনের মধ্যে মর গাঙে বান ডেকে উঠল। বোধ হয় আজকের দিনে আর দ্বিতীয় কোনো লোক নেই যার স্মৃতি-চিত্রশালায় সেদিনকার যুগ এমন প্রতিভার আলোকে প্রাণে প্রদীপ্ত হয়ে দেখা দিতে পারে—এ তো ঐতিহাসিক অবনীন্দ্রনাথের "ঘরোয়া", প্ররাসী, কার্তিক ১৩৪৮ 8>や