করি। তাই ভাবলুম, কথা যদি ঔর থাকে আর আমার স্বরে আমি গাই তাতে ক্ষতি কী । রবিকাকা বললেন, না, তা আর আপত্তি কী । তবে দেখো গানগুলো আমি লিখেছিলেম, স্বরগুলোও দিয়েছি, সেগুলির উপর আমার মমতা আছে, তা নেহাত গাওই যদি তবে তার উপর একটু মায়াদয় রেখে গেয়ে । جمہ সে সময়ে রবিকাকার গানের সঙ্গে আমাদের বাজনা ইত্যাদি খুব জমত । এই একতলার বড়ে ঘরটিতেই আমাদের জলসা হত রোজ ! ঘণ্টার জ্ঞান থাকত না, এক-একদিন প্রায় সারারাত কেটে যেত। আমি এসরাজ বাজাতুম, নাটোর বাজাতেন পাখোয়াজ । ওই সময়ে একটা ড্রামাটিক ক্লাব হয়েছিল, তাতে রবিকাক আমরা অঙ্কেগুলি প্লে করেছিলুম। সে-সব পরে এক সময় বলব। তবে "বিসর্জন নাটক লেখার ইতিহাসটা বলি শোনো । তখন বর্ষাকাল রবিকীক আছেন পরগনায় । দাদা অরুদ আমরা কয়জনে, একটা কী নাটক হয়ে গেছে, আর-একটা নাটক করব তার আয়োজন করছি । বউঠাকুরানীরহাট এর বর্ণনাগুলি বাদ দিয়ে কেবল কথাটুকু নিয়ে খাড়া করে তুলেছি নাটক করব । ঝুপ ঝুপ, বৃষ্ট পড়ছে, আমরা সব তাকিয়া বুকে নিয়ে এই-সব ঠিক করছি – এমন সময় রবিকাকা কী একটা কাজে ফিরে’ এসেছেন । তিনি বললেন, দেখি কী হচ্ছে। খাতাটা নিয়ে নিলেন, দেখে বললেন, না, এ চলবে না – আমি নিয়ে যাচ্ছি খাতাটা শিলাইদহে বসে লিখে আনব, তোমরা এখন আর-কিছু কোরো না । যাক, আমরা নিশ্চিন্ত হলুম। এর কিছুদিন বাদেই রবিকাকা শিলাইদহে গেলেন, আট-দশ দিন বাদে ফিরে এলেন, ‘বিসর্জন নাটক তৈরি । এই রথীর ঘরেই প্রথম নাটকটি পড়া হল, আমরা সব জড়ো হলুম– তখনই সব ঠিক হল, কে কী পার্ট নেবে, রবিকাক৷ কী সাজবেন । হ-চ.হ-র উপর ভার পড়ল স্টেজ সাজাবার, সীন আঁকবার । আমিও তার সঙ্গে লেগে গেলুম। এক সাহেব পেপ্টার জোগাড় করে আনা গেল, সে ভালো সীন আঁকতে পারত, ইলোর কেভ থেকে থাম-টাম নিয়ে কালীমন্দির হল । মোগল পেটিং থেকে রাজসভা হল । কোনো কারণে ড্রামাটিক ক্লাব উঠে গেল, পরে শুনবে । তবে অনেক চাদার টাকা জমা রেখে গেল । এখন এই টাকাগুলো নিয়ে কী করা যাবে পরামর্শ হচ্ছে । আমি বললুম, কী আর হবে, ড্রামাটিক ক্লাবের শ্রাদ্ধ করা যাক – এই টাকা দিয়ে একটা ভোজ tét
- ( 3. је