একদিন সম্মুখের গলির মোড়ে দেখিলাম, এক ভিক্ষুক বিকট অঙ্গ-ভঙ্গী করিয়া পথ-যাত্রীর করুণা উদ্রেক করিবার চেষ্টা করিতেছে। লোকটা একেবারেই ভণ্ড; প্রতারণা করিয়া সকলকে ঠকাইতেছে বলিয়া আমার রাগ হইল। এই সময় সেখান দিয়া একটি স্ত্রীলোক যাইতেছিল। তাহার পরনে ছেঁড়া কাপড়। ভিক্ষুকের কান্না শুনিয়া স্ত্রীলোকটি থমকিয়া দাড়াইল এবং তাহার দিকে কাতর নয়নে চাহিয়া দেখিল। তাহার অঞ্চলের কোণে একটি মাত্র পয়সা বাঁধা ছিল; হয়ত তাহাই তাহার সর্ব্বস্ব। বিনা বাক্যব্যয়ে সে সেই পয়সাটি ভিক্ষুককে দিয়া চলিয়া গেল। সেই দিনেই আমার প্রকৃত রাণী-সন্দর্শন লাভ হইয়ছিল- মাতৃরুপিনী জগদ্ধাত্রী রাণী! এইজন্যই তো বয়স নির্ব্বিশেষে ছোট মেয়ে হইতে বর্ষীয়সী পর্য্যন্ত সকল নারীকেই আমরা মা বলিয়া সম্বোধন করি।
বাঘিনী মাতৃস্নেহে মমতাপন্ন হয়। একবার ১০।১২ বৎসরের একটি ছেলে দেখিলাম। শিশুকালে নেকড়ে-বাঘিনী তাহাকে লইয়া যায়। ক্ষুধার্ত্ত শিশু বাঘিনীর স্তন্যপান করিতে চেষ্টা করিয়ছিল, তাহাতে তাহার প্রাণরক্ষা হইল। সেই অবধি