হইতেছে না। এই অতি সংযত, মৌন ও অক্রন্দিত জীবনেরও যে এক মর্ম্মভেদী ইতিহাস আছে তাহা বর্ণনা করিব।
মানুষকে আঘাত করিলে সে চীৎকার করে। তাহা হইতে মনে করি, সে বেদনা পাইয়াছে। বোবা চীৎকার করা না; কি করিয়া জানিব, সে বেদনা পাইয়াছে? সে ছট্ফট্ করে, তাহার হস্তপদ আকুঞ্চিত হয়; দেখিয়া মনে হয়, সেও বেদনা পাইয়াছে। সমবেদনার দ্বারা তাহার কষ্ট অনুভব করি। ব্যাঙকে আঘাত করিলে সে চিৎকার করে না, কিন্তু ছট্ফট্ করে; তবে মানুষ ও ব্যাঙে যে অনেক প্রভেদ! ব্যাঙ বেদনা পাইল কি না, এ কথা কেবল অন্তর্যামীই জানেন। সমবেদনা সতত ঊর্দ্ধমুখী, কখন কখন সমতলগামী, ক্কচিৎ নিম্নগামী। ইতর লোক যে আমাদের মতই সুখ দুঃখ, মান অপমান বোধ করে, একথা কেহ কেহ সন্দেহ করিয়া থাকেন। ইতর জীবের ত কথাই নাই। তবে ব্যাঙ আঘাত পাইয়া যে কিছু একটা অনুভব করে এবং সাড়া দেয়, এ কথা মানিয়া লইতেই হইবে। অনুভব করে- এই কথা, টের পায় এই অর্থে ব্যবহার করিব। মানুষ বেদনা পায়, ইতর জীব সাড়া দেয়, এই কথাতে কেহ কোন আপত্তি করিবেন না। ব্যাঙের ছট্ফটানি দেখিয়া হয়ত অভ্যাস-দোষে কখন বলিয়া ফেলিতে পারি যে, সে বেদনা পাইয়াছে। একথাটা রূপক অর্থে লইবেন। কথা ব্যবহার