পাতা:অব্যক্ত.djvu/২০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
অব্যক্ত

দেখিয়া মানুষ একেবারে অবসন্ন হইয়া কহিল, ‘‘দেবদূত! আমার প্রাণবায়ু বাহির করিয়া দাও! এই দেহ অচেতন ধূলিকণায় মিশিয়া যাউক। অসহ্য এ অনন্তের ভার! এ জগতের শেষ কোথায়?’’

 তখন মেখদূত কহিলেন, ‘‘তোমার সম্মুখে অনন্ত নাই। ইহাতেই কি তুমি অবসন্ন হইয়াছ? পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখ, এ জগতের আরম্ভও নাই।’’

 শেষও নাই, আরম্ভও নাই।

 মানুষের মন অসীমের ভার বহিতে পারে না। ধূলিকণা হইয়া কিরূপে অসীম ব্রহ্মাণ্ডের কল্পনা মনে ধারণা করিব?

 অণুবীক্ষণে ক্ষুদ্র বিন্দুতে বৃহৎ জগৎ দেখা যায়। বিপর্য্যয় করিয়া দেখিলে জগৎ ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। অণুবীক্ষণ বিপর্য্যয় করিয়া দেখ। ব্রহ্মাণ্ড ছাড়িয়া ক্ষুদ্র কণিকায় দৃষ্টি আবদ্ধ কর।

 আমাদের চক্ষুর সমক্ষে জড়বস্তু মুহূর্ত্তে মুহূর্ত্তে কত বিভিন্ন রূপ ধারণ করিতেছে। অগ্নিদাহে মহানগর শূন্যে বিলীন হইয়া যায়। তাহা বলিয়া একবিন্দুও বিনষ্ট হয় না। একই অণু কখন মৃত্তিকাকারে, কখন উদ্ভিদাকারে, কখন মনুষ্যদেহে, পুনরায় কখন অদৃশ্য বায়ুরূপে বর্ত্তমান। কোনো বস্তুরই বিনাশ নাই।

 শক্তিও অবিনশ্বর। এক মহাশক্তি জগৎ বেষ্টন করিয়া