পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>0金 অভাগী সুশীলা-দিদি বললেন, আমি কায়ন্থের মেয়ে নই। যেদিন কলকাতার কম্বুলেটোলা থেকে বের হয়েছিলাম, সেই দিন থেকে আমার জাত গিয়েছিল । আমার মা কি বলেছিলেন মনে নেই । তিনি বলেছিলেন “আমার কোন মেয়ে হয় নি, সুশীলা নামে আমার কেউ নেই।” সে কথা, সে সতীলক্ষ্মীর কথা কি আমি ভুলেছি ? সেইদিন থেকে আমি কায়ন্থের মেয়ে নই। তার পর যে-দিন মৃতপ্রায় অবস্থায় আমি সাজাহানপুরে গিয়েছিলাম, সেদিন কেউ আমাকে আহবান করে নি, ঐ আমার স্বৰ্গীয় কাকাবাবু সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন ; বলেছিলেন, “ তোর আর কেউ না থাকে। আমি আছি। সে কথা আমি ভুলি নি। রাণী ! সেইদিন থেকে আমি চট্টোপাধ্যায়-আমি সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে । তারপর, আর একটা কথা আছে। রাণী ! তোর ঐ মিসেস কথাটায় আমার ঘোর আপত্তি ১, আমি কুমারী ব’লে নিজের পরিচয় দিতে পারব না ; কিন্তু আমি যে বিধবা, এ কথাও আমি কোন দিন স্বীকার করব না। আমি যে বিবাহিতা, তাও আমি স্বীকার করব না। আমি ও-সব কিছুই নই। আমার অন্য কোন পরিচয় নেই। আমার পিতৃকুল নেই, মাতৃকুল নেই, শ্বশুর। কুলও মোটেই নেই। আমার জীবন আরম্ভ হ’য়েছে সাজাহানপুরে ; আমার নাম তাই সুশীলা চট্টোপাধ্যায়, আর কিছু নয়। এই অপূর্ব্ব কথা শুনে আমার শাশুড়ী উঠে এসে সুশীলাদিদিকে বুক্তে জড়িয়ে ধরে বললেন, সেই ঠিক মা, তোর কথাই ঠিক । তুই আমার বড় মেয়ে, রাণী আমার ছোট মেয়ে। তোর