পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বারে কেমন হইয়া গেলেন ; তঁাহার সাধ্য হইল না। যে, আসন ত্যাগ করিয়া সুশীলাকে আক্রমণ করেন, বা তাহাকে কিছু বলেন । তিনি সুশীলার দিকে একদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন । একটু পরেই আত্ম-সংবরণ করিয়া সুশীলা বলিল, “শোন সন্ন্যাসী, এই আমি তোমার আশ্রম ত্যাগ ক'রে চললাম। " তোমার সাধ্য থাকে, আমাকে আটকও।” এই বলিয়া সুশীলা সেই আশ্রম হইতে বাহির হইয়া গেল । স্বামীজি তাহার দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিলেন ! সুশীলা আশ্রম হইতে বাহির হইয়াই কেমন যেন বোধ করিতে লাগিল । যে শক্তি তাহাকে আশ্রমের বাহিরে লইয়া আসিয়াছিল, সে শক্তি, সে তেজ যেন কমিয়া যাইতে লাগিল । রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া এতটুকু পথও সে হঁটে নাই। তাহার পর এই উত্তেজনা।--তাহাকে একেবারে অবসন্ন করিয়া ফেলিল । সে চারিদিক আধার দেখিতে লাগিল ; তাহার পরই ‘মাগো --মা” বলিয়া সে পথিপার্শ্বে মূচ্ছিতা হইয়া পড়িল । তিনদিন পরে যখন তাহার প্রথম জ্ঞান-সঞ্চার হইল, তখন সে ধীরে ধীরে চক্ষু মেলিল ; দেখিল তাহার পার্শ্বে কে ২৪৯ ]