পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী সুশীলার দিকে চাহিয়া তিনি বলিলেন “সুশীলা, তুমি মনে কিছু কোরো না ; ভেবে দেখ, আমি যা বললাম, তা ঠিক কি না । হিন্দুর বিধবাকে কি কবুতে হয়, বিধবা মাত্রেরই কি করা কীর্ত্তব্য, তা তুমি এখন বেশ বুঝতে পেরেছ। একটু লালসাকে মনে স্থান দিয়েছিলে, তারই জন্য দেখলে, তোমার অদৃষ্ট কি হোলো, তুমি কত কষ্ট পেলে । এমনই ক’রেই অনেকে পাপে ডুবে যায়। তোমার সৌভাগ্য, তোমার কর্ম্মের জোর ছিল, তাই তুমি এমন কেটে উঠেছ, এমন খাটি হয়েছ। এত পোড়ো না খেলে তোমার অদৃষ্ট কি হোতো, তা বাবা বিশ্বনাথই জানেন । যাক সে কথা ; তুমি সাজাহানপুরে যেতে অস্বীকার কোরো না। আমি যা করছি, তোমার ভালর জন্যই করছি। আমার কথা তুমি শোন ; আর নির্ভর কর সেই বাবা বিশ্বনাথের উপর ” তিনকড়ি বলিল “যাক ও কথায় আর কােজ নেই। এখন ষাবার সব ঠিক ক’রে ফেলা যাক । সুশীলার রেলে খাবার জন্য কি কি নিতে হবে, তা সব ঠিক ক’রে নেও বড়দিদি ! তোমার এবার আর বিশ্বনাথ দৰ্শন হোলো না।” বড়দিদি বলিলেন “বিশ্বনাথ দৰ্শন হোলো না, তুই বলছিস তিনু ! আমি সুশীলার পাশে ব’সে প্রতিদিন প্রতিক্ষণে বিশ্বনাথ, २४१ ]