অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক । ১৭৩ তির নিকট উপস্থিত হন, তখন আমি ধ্যানে সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইলাম, ষে দুর্ব্বাসার শাপে এই তপস্বিনী সহধর্ম্মিণী শকুন্তলা, প্রত্যাদিষ্ট হইয়াছিল, এবং অঙ্গুরীয় দর্শনে শাপের পর্যাবসান হইবে। রাজা । ( দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগপূর্বক ) এখন আমি নিন্দাহইতে মুক্ত হইলাম। শকু। (স্বগত) আর্য্যপুত্র আমাকে ইচ্ছাপূর্বক পরিত্যাগ করেন নাই, কেবল শাপপ্রভাবেই আপনি বিস্মৃত হইয়াছিলেন, আমি ভাবশূন্যহৃদয়া হইয়। এই শাপ শ্রবণ করি নাই, যেহেতু সখীরা আমাকে অত্যাদরে বলিয়াছিলেন যে “ তোমার ভর্ত্তাকে অবশ্য অবশ্য এই অঙ্গুরীয় দেখাইও । , কশ্যপ। ( শকুন্তলার দিকে ফিরিয়া) বৎসে ! তুমি কারণ বিদিত হইয়াছ, অতএব অণর স্বামির প্রতি ক্রোধ করিও না । শাপেতে বঞ্চিত তুমি আচিলা নিশ্চিত । হয়েছিল তব পতি তাহাতে বিস্মৃত ॥ এখন হয়েছে বোধ পতির তোমার । এবে পতি প্রতি তব হল অধিকার ॥ প্রতিবিম্ব নাহি পড়ে সমল দর্পণে । নির্ম্মল হইলে পড়ে বুঝে দেখ মনে ॥ রাজা । ভগবন! যাহা বলিলেন তাহাই বটে। কশ্যপ । বৎস! তুমি এই সন্তানকে আদরপূর্বক গ্রহণ
পাতা:অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক.djvu/১৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।