৬৬ অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক । প্রিয়ে তব মন, কঠিন কেমন, ভাবি তাই অনিবার ॥ শকু অতঃপর আর বিলম্ব করিতে পারি না, তবে ঐ মৃণালবলয়ের ছলেই দেখা দিই। ( ইহা কহিয়া রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । ) রাজা। ( দেখিয়া সহর্ষ)এই যে প্রাণেশ্বরী আসিয়াছেন, বুঝিলাম দেবতারা আমার পরিতাপ শুনিয়া সদয় হইয়াছেন, তাহাতে পুনর্ব্বার প্রিয়াকে দেখিতে পাইলাম । চাতক কাতর স্বরে, ডাকিলেক জলধরে, জলধর কর বরিষণ । নব জলধর সুখে, অমনি চাতক মুখে, * আপিলেন শীতল জীবন ॥ শকু। মহারাজ ! অৰ্দ্ধপথে স্মরণ হওয়াতে আমার হস্ত ভ্রষ্ট মৃণালবলয় লইতে আসিয়াছি ; আমার হৃদয় কহিতেছে তুমিই লইয়াছ, অতএব আমার বলয় আমাকে দাও, নতুবা ইহা মুনিদিগের নিকট প্রকাশ পাইলে অতি লজ্জার বিষয় হইবেক । রাজা । প্রত্যপণ করিতে পারি, যদি আমার এক অভি সন্ধি শ্রবণ কর । শকু। সে অভিসন্ধি কি । রাজা । যদি আমাকে ইহা যথা স্থানে নিবেশিত করিতে দাও, তবে তোমার মৃণালবলয় তোমাকে দিই । শকু। কি করি, তাহাই কর। (ইহা কহিয়া নিকটে গমন করিলেন । )
পাতা:অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।