পাতা:অভিনব - প্রচার পুস্তিকা (১৯৪০).pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

অভিনব

 বর্ষা মুখর এক সন্ধ্যায় রঞ্জিতের বাড়ীর আড্ডা যখন কিছুতেই আর জমছিল না, রঞ্জিৎ তখন সুরু করল— একটী গল্প—

 সেদিন ছিল নারীচিত্ত মুক্তি প্রচারিণী সভার বার্ষিক অধিবেশন— অর্দ্ধ প্রবীণ দীননাথ তার সভাপতি—তিনি বলেন: “অন্দরের অন্ধকার থেকে টেনে আনো নারীকে পথের এই মুক্ত আলোয়— নইলে বাংলা দেশ রসাতলে যাবে”। সবাই শুনে মুগ্ধ হ’ল– হলনা কেবল দুজন—তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন— দীননাথ বাবু! আপনি কিন্তু বৌদিকে চিরদিনই পর্দার আড়ালে রাখলেন! দীননাথ রেগে জবাব দেয়— আরে! সে যে স্ত্রী......


 চার দিকে পরদা আঁটা বাড়ীর ভিতর থেকে দীননাথের স্ত্রী বনলতা যদি বা কখনও একটু পৰ্দ্দা সরিয়ে দখিণ হাওয়ার আহ্লাদ পেতে চায়— দীননাথ যান চটে, বলেন, স্ত্রীর কবিত্ব ভাল নয়—

 অথচ তাঁর নিজের মনে তখনও সবুজের ছোঁয়া আছে, তিনিও চান মাঝে মাঝে........

 এমনি ভাবে দিন যায়— একদিন দীননাথ পেলেন একখানি চিঠি। চিঠিখানি লিখেছে “সুরভোলা অবলা”— তিনি চান ভিক্টোরিয়া অগ্রদূত দীননাথের সঙ্গ—