পাতা:অভিমানিনী.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R छ्त्रख्रिांत्रिंनी সম্মুখে নিদাঘে মন্দশ্রোতা জাহ্নবী কল কল কািরয়া বহিয়া যাইতেছিল। গঙ্গার অপরপারে গাছের আড়ালে স্থায়? ডুবিয়া যাইতেছে। পশ্চিমের আকাশ-প্রান্ত অস্তগামী রবি করে রক্তবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। মাঝে মাঝে শাদা শাদা ভাঙ্গা ভাঙ্গা মেঘ । নীল আকাশ, শাদা মেঘ ও রাঙা সুর্য্যের রেখায় চমৎকার একখানি নিসর্গ(চিএ অঙ্কিত হইয়াছে { মাধুরী কিন্তু সেদিকে চাহিতেছিল না। তাহার সাগ্রহ দৃষ্টি দক্ষিণের দিকে গঙ্গাবক্ষে একখানি জাহাজের অনুসন্ধান করিতেছিল। তাহার স্বামীর আসিবার সময় হইয়াছে। মাধুরী পল্লীগ্রামের মেয়ে। তাঙ্গাদের গ্রামে ‘মেয়েস্কুলে’ ভক্তি হইয়া দিনকতক পড়িয়া বাঙ্গালা পড়িতে ও লিখিতে ‘কিছু কিছু শিখিয়াছিল। বটে, কিন্তু সেদিকে তাহার অনুরাগ মোটেই ছিল না । তাহদের বাড়ীর আর কোনও মেয়েরা লিখিতে, বা পড়িতে জানিত না । তাহারও স্কুলে যাওয়া হইত না, তবে তাহার মামা তাহার বাবাকে অনেক করিয়া বুঝাইয়া তাহাকে মেয়ে স্কুলে ভক্তি করাইয়াছিলেন। লেখা-পড়া না শিখিলে আজিকালিকার ছেলেরা মেয়েদের পছন্দ করে না । অল্প স্বল্প লেখা-পড়া শিখিলে হানি কি ? মাধুরীর পিতাও অগত্যা কন্যার বিবাহের সুবিধা হইবে ভাবিয়া তাহাকে গ্রাম্য বালিকাবিদ্যালয়ে ভর্ত্তি করিয়া । দিয়াছিলেন । কিন্তু স্কুলে ভর্ত্তি হইলেই যদি লেখাপড়া হইত, তাহা * হইলে আর ভাবনা কি ? মাধুরীর পিতা কলিকাতার কোন আফিসে সামান্য ত্রিশটি টাকা বেতনে চাকরি করিতেন । সকালে উঠিয়া স্নান করিয়া পূজা আহ্নিক সারিয়া আহার করিয়াই তঁহাকে কলিকাতায় দৌড়িতে হইত। রাত্রি না হইলে আর বাড়ীতে আসিতেন না । আসিয়া মুখ হাত ধুইয়া সন্ধ্যা আহ্নিক করিয়া আহার করিতেই রাত্রি নয়টা বাজিত । দুই চারিটি সাংসারিক কথাবার্ত্তার পর সারাদিনের পরিশ্রম-aান্ত