পাতা:অভিমানিনী.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fŠ8 পরিচ্ছেদ Y 06 দে স্কুট । আমি বাবাকেও একদিন দেখিয়েছি। আর একখানা ছবির খাতা আছে। সেখানা একবার যদি পাই দুখানা ছবি কেটে দেয়ালে জল দিয়ে এটে দোব।” সীতাপতি পাতা উল্টাইয়া দেখিল, খাতাখানির তিন চতুর্থাংশ কবিতায় ভরা, বাকি পৃষ্ঠাগুলি সাদা রহিয়াছে। কবিতাগুলি রচনার সময়ই যেমন কাটাকুট থাকে, সেইরূপই রহিয়াছে। নকল করিয়া রাখা হয় নাই। সীতাপতি খাতাখানি পড়িতে লাগিল । সকল গুলিই মধুর শব্দবিন্যাসে, সুমিষ্ট ছন্দে রচিত। স্তব্ধ দ্বিপ্রহরে ইচ্ছামতীর কলতানের সঙ্গে সুর মিলাইয়া সীতাপতির মুক্ত গুঞ্জনরাবে পঠিত কবিতাগুলি এক কাল্পনিক জগৎ সৃষ্টি করিয়া (ফলিল। সে জগতে শুধু হাসি-শুধু বঁাশী-মধু আলো-শুধু গানশুধু মালয়ের প্রবাহ-শুধু ফুলের সৌরভ। আর সেই পরীরাজ্যের রাজা ও রাণী-কাহারা ? ... " প্রমত্ত যৌবনে এমনই একটা না একটা দিন সকলেরই আসে । সেদিন সংসারের সব কথা—সব ঘটনা ডুবিয়া যায়। অদৃশ্যস্থিত কোন দেবতার কর-সঞ্চালনে যৌবন প্রেম ও সুখের তিনখানা কাচখণ্ডের বেষ্টনে তুচ্ছ ঘটনারূপ কাচের টুকরাগুলি মুহুর্তে মুহূর্ত্তে নব নব সৌন্দর্য্যের অপূর্ব্ব দৃশ্য উদ্ভাসিত করিতে থাকে। আজি সীতাপতিরও বুঝি তাহাই ঘটিল। কতক্ষণ কাটিয়া গিয়াছে তাহা সীতাপতি জানিত না । হিরন্ময় তাহাকে ঠেলিয়া বলিল “দেখুন-দেখুন-কেমন ছবি করেছি।” সহসা স্বপ্ন ঘোর ভাঙ্গিয়া গেলে লোকে যেমন চমকিয়া উঠে তেমনি ভাবে সীতাপতি হিরন্ময়ের দিকে চাহিয়া দেখিল । হিরন্ময় বড় সুবিধা পাইয়াছিল । সীতাপতি যখন কবিতা পাঠে