পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ క్తి ইয়াছে-নীহার তাহাকে ভালবাসে। এই আনন্দোই তাহার ‘চন্তু দুরপুর কইয়া গিয়াছিল। কতক্ষণে রুক্মিণীবাবু কাছারী হইতে আসিবেন, সে উৎকণ্ঠিতচিত্তে তাহারই প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। ' প্রায় ছয়টার সময় সেদিন রুক্মিণীবাবু ফিরিলেন। সীতাপতি:ক দেখিয়া বলিলেন “ব্যস, আমি কাপড় চোপড় ছেড়ে আসি।” সীতাপতি বসিয়া রহিল । হিরন্ময় ও আজ তাহার কাছে ছিল না । ৰুক্মিণীবাবুকে কথাটা বলিবার জন্য একদিকে তাহার যেমন আগ্রন্থ হইতৈছিল; অপরদিকে তেমনি কি বলিয়া কথাটা পাড়িবে, তাহা ঠিক করিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। অল্পক্ষণের মধ্যেই রুক্মিণীবাবু আসিলেন । রুক্মিণীবাবুর আসার পরই বেহারিা আসিয়া চা ও জলখাবার ‘দয়া গেল। রুক্সিণীবাবু সীতাপতিকে এক পেয়ালা ‘চা দিয়া নিজে এক পেয়ালা লইলেন । যতক্ষণ চা খাওয়া শেষ না হইল, ততক্ষণ সীতাপ”ত আর কথাটা পাড়িল না। চা খাওয়া হইয়া গেলে, 'বেহােরা আসিয়া পেয়ালা, প্লেট ও জলখাবারের থালা সরাইয়া লইয়া গেলে, সীতাপ ‘ত বলিল, “আপনাকে একটা কথা বলব ?” “কি ?” বলিয়া রুক্মিণীবাবু সীতাপতির দিকে চাচিলেন । সীতাপতি যেমন গোছাইয়া কথাটা বলিবে মনে করিয়াছিল, ক’ম৷”- কালে তাক পারিল না। একেবারেই বলিয়া ফেলিল “আমি ৰাদি নীহারিকে বিবাহ করতে চাই, তাক’লে আমাকে তার উপযুক্ত মনে করবেন কি ?” কথাটা শুনিয়া রুক্মিণীবাবুর ললাটে চিন্তার রেখা বিকাশ পাইল । কিরিণীবাবু একদিনের জন্য ও ভাবেন নাই যে, এমন একটা সম্ভাবনা ঘটতে পারে। অনেক ভাবিয়া, সীতাপতি আঘাত না পায় এমন