পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ IvSC সী। আমার বােধ হয় তাদের বুঝিয়ে বললে তারা অমত করবেন। भां । " সীতাপতি মুখে একথা বলিল বটে, কিন্তু তাহার মন আশঙ্কায় পূর্ণ ছিল । তাহার পিতামাতা স্তুত কখনই রাজী হইবেন না। আর হৃদয়বাৰু -পাবনায় সীতাপতি রুক্মিণীবাবুর বাসায় থাকাতেই যিনি আপত্তি করিয়াছিলেন, তিনি কি রুক্মিণীবাবুর কন্যার সহিত সীতাপতির বিবাহ দিতে সম্মত হইবেন ? কিন্ত আশা করিয়া তিনি সীতাপতিকে পোস্যপুত্র লইয়াছেন। সেই আশার কি এইরূপে পূরণ হইবে ? রুক্মিণীবাবুও মনে মনে জানিতেন এ কাজটা সীতাপতি যত সহজ মনে করিতেছে, বাস্তবিক তত সহজ নয়। কিন্তু তঁাহার আর একটি গুরুতর কথা বলিবার ছিল। এইবার সেই কথাটি পাড়িলেন। সীতাপতিকে বলিলেন “দেখ, ব্যাপার যখন এতদূর এগিয়েছে, তখন একটা কথা তোমায় খুলে বলতে হ’ল । নীহার আমার কন্যা নয়।” সীতাপতি বিস্ময়বিশ্বন্ধারিত নয়নে রুক্সিণীবাবুর দিকে চাহিয়া বালল। “এা ? নীহারি আপনার মেয়ে নয় ?” রু। না । শোন-অধীর হ’য়ে না। সব বলছি। আমি যখন রতনগঞ্জে ছিলুম তখন একদিন নৌকা ক’রে একটা তদন্তে যাই । ঝড় চ’বার সম্ভাবনা দেখে তীরে উঠি । কিন্তু ভীষণ ঝড়ে সেদিন নদীতে একপুনি নৌকাডুবি হয়। কাউকে বাঁচাতে পারা যায় নি। আমার নৌকায় দাড়ীমাঝিরা অনেক চেষ্টা ক’রে কেবল একটি ছোট মেয়েকে জল থেকে বাচায় । সে-ই এই নীহার । সীতাপতি যেন কোন উপন্যাসের গল্প শুনিতেছে এইরূপ ভাবে অবাক চষ্টা রুক্মিণীৰাবুর দিকে চাহিয়া রহিল। রুক্মিণীবাবু বলিলেন “আমি অনেক সন্ধান করেছিলুম, কিন্তু মেয়েটির কোন বংশ পরিচয় পাই নি ।