পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wジ অভিমানিনী পুস্তক ও মাধুরীর হাতে পড়িয়া অনিদ্রার ঔষধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়া গেল । নীলমাধব বলিতেন “তুমি সমস্ত দিন করিত্বে ‘কি ?” মাধুরী হাসিয়া বলিত “আমার ঢ়ের কাজ আছে।” বাস্তবিক সে নিজের অনেক কাজ সৃষ্টি করিয়া ফেলিয়াছিল। প্রত্যুষে সমস্ত বাড়ী ঝাঁট দিয়া গঙ্গাস্নান, শিবপূজা, পরে রন্ধন, দ্বিপ্রহরে ক্যাথা সেলাই, কোনও কোনও দিন সাবান দিয়া কাপড়, বিছানার চাদর প্রভৃতি কাচা, বিকালে পুনর্বার রন্ধনের উদ্যোগ এত নিত্যই ছিল । তারপর সধবার ব্রত-নিয়মগুলি সে একে একে সমস্ত করিতে আরম্ভ করিয়াছে। গ্রামের ছোট ছোট মেয়েদের ব্রতনিয়মবিষয়ে সে নিত্যত উপদেশ দিয়া থাকে। প্রায়ই বিকালবেলা একজন না। একজন মেয়ে চুল বাধিবার জন্য তাহার নিকট উপস্থিত হয়। গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ও অবাধে নীলমাধবের বাগান ও বাড়ীতে যখন তখন আসিয়া লুকোচুরি খেলে। তাহার মধ্যে কেহ মারি থাইলে বা পড়িয়া গেলে কঁদিতে কঁাদিতে মাধুরীর কাছেই সাম্বনার জন্য গিয়া উপস্থিত হয় ; মাধুরী ও তাঁহাকে কোলে লইয়া কখনও খাবার দিয়া কখনও বা অন্য উপায়ে গুলাইয়া থাকে । কিন্তু এই সমস্ত কাজের মধ্যে ঘত বিকালের রৌদ্র উঠানের উপর। দিয়া ধীরে ধীরে সরিতে থাকে, ততই মাধুরীর মনটা চঞ্চল হইয়া উঠে। এইবার তাহার স্বামীর আসিবার সময় হইতেছে। রৌদ্র কোনখানটায় পড়িলে তাহার স্বামীর আসিবার সময় হয়, মাধুরী তাহা ঠিক করিয়া রাখিয়াছে। মেয়েদের চুল বাধিতে বাধিতে, ক্রীড়াপরায়ণ বালকবালিকাগণকে দেখিতে দেখিতে গৃহ কর্ম্ম করিতে করিতে, রোরুদ্যমান। বালকবালিকাকে সাস্তুনা দিতে দিতে, তাহার নয়ন দুইটি সেই চঞ্চল রৌদ্রের রেখার দিকেই বার বার সঞ্চালিত হইত। শেষে স্বামীর