দশম পরিচ্ছেদ a লোকটিও উঠিয়া দাড়াইয়াছিল। বলিল “নীহার নীহার কাচ্ছেন কেন ? নেশাটেশা করেছেন নাকি ? লড়তে চান ত আসুন না। এ হাতুড়ি পেটা হাত বুঝেছেন ? আপনার মত ননীর দেহ নয়। টেরিটা 外〔可a q邻可1” সীতাপতি একথা শুনিয়া জোর করিয়া রুক্মিণীবাবুর হাত ছাড়াইয়া দৌড়িয়া লোকটির কাছে গেল। কিন্তু কোন মারামারি হইবার পূর্ব্বেষ্ট ধ্ৰুক্মিণীবাবু আবার তাহাকে ধরিয়া ফেলিলেন । লোকটিকে বলিলেন “তুমি সরে দাড়াও ” লোকটি কোনরূপ ভীতিভাব প্রকাশ করিল না । রুক্মিণীবাবুর কথায় একটু সরিয়া দাড়াইয়া অর্থপূর্ণ হাস্তের সঠিত বলিল “এ'র এত 7রদ কেন ? এ্যা ?” রুক্মিণীবাবু সীতাপতিকে জোর করিয়া চেয়ারে বসাইলেন। বলিলিন “দেখ, ওরকম করলে চলবে না। তোমার ও,আমার দুজনেরই এখন স্থির হ’য়ে থাকা দরকার । কি প্রমাণ এনেছৈ দেখা যাক ৷” লোকটি বাহিবে গিয়া কোমরের ঘুনশি হইতে একটা চাবি লইয়া ক্যাম্বিসের ব্যাগটি খুলিল । খুলিয়া কতকগুলি কাগজপত্র বাঙ্গির করিয়া আনিয়া রুক্মিণীবাবুকে দিল । বলিল “এই দু’খানা পীতাম্বর ঘোষ মহাশয়ের চিঠি। রামরূপ ভট্টচাষকে কোষ্ঠীর জন্য লিখেছিলেন । এইটে আমার কোষ্ঠী । বাবার দপ্তরের এই সব কাগজ ও খাতা । এগুলি আমাদের প্রতিবেশী গােবৰ্দ্ধন বািড়য্যের কাছে ছিল। পলাশপুরে অনুসন্ধান করলেই সব জানতে পারবেন। আমায় সেখানে না চেনে কে ?” রুক্মিণীবাবু কাগজ-পত্রগুলি ভাল করিয়া দেখিলেন। বলিলেন "এগুলি আমার কাছে রেখে যেতে তোমার কোন আপত্তি আছে কি ?”
পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।