yo अख्छिभनिनौ প্রদীপ জ্বালিবার জন্য সে জানালার নিকট হইতে সরিয়া গেল । তবে বোধ হয় তঁহার কোনও কারণে বিলম্ব হইয়: গিয়াছে। রাত্রির ষ্টীমারে বোধ হয় আসিবেন । সেইখানিই শেষ জাহাজ । এইরূপ দেৱী আর একদিনও হইয়াছিল। সেদিন অফিসে বড় কাজের ভীড় ছিল । প্রদীপ জালিয়া মাধুরী উৎকণ্ঠায় ছটফট করতে লাগিল। এক বার এঘর, একবার ওঘর, করিতে লাগিল । তাহার মনের চাঞ্চল্য তাহার ব্যবহারে সুস্পষ্ট ফুটিয়া উঠিতে লাগিল। রান্নাঘরে গিয়া রন্ধন সমাপনে প্রবৃত্ত হইল বটে, কিন্তু কিছুতেই সেদিকে আর তাহার মন যাইতেছিল না । কেবল সে উৎকর্ণ হইয়া চিরপরিচিত পদশব্দ বা দ্বারে শিকল নাড়ার প্রতীক্ষা করিতেছিল। রাত্রির জাহাজের বঁাশী শুনা গেল। মাধুরী ছুটিরা জানালায় গেল। অন্ধকার গঙ্গাবক্ষে তীব্র সার্চ লাইটের আলোক বিকীরণ করিতে করিতে বেগে জাহাজ অগ্রসর হইয়া আসিল । জেটাতে থামিল । এইবার নিশ্চয়ই তাহার স্বামী আসিবেন । মাধুরী দ্বারের নিকট গিয়া দাড়াইল । বহুক্ষণ কাটিয়া গেল । কোন ও শব্দ শুনা গেল না । সেদিন তখনও চাদ উঠে নাই। নক্ষত্রগুলি মাথার উপর জ্বলিতেছিল। দূরে গ্রাম্য কুক্কারের রব দুই একবার শ্রুত হইল। মাধুরী আর থাকিতে পারিল না। একাকিনী দ্বারে তালাবন্ধ করিয়া তাহদের বাড়ীর সম্মুখস্থ রাস্তার বিপরীত দিকে এক মুণুধু গৃহের দ্বারে গিয়া ডাকিল “তুলসীর মা।” “তুলসীর মা।” প্রদীপ হস্তে এক বুদ্ধা বাহিরে আসল। বলিল, “কে গা ? ওমা ! দিদিঠাকরুণ! এত রাত্রিতে তুমি এখানে কেন ? 'দাদাঠাকুর কোথায় ?” মা। তিনি এখনও আসেন নি। তুই একবার বাড়ুর্য্যে মশরের বাড়ীতে গিয়ে খবর নিয়ে আয় ।
পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।