R অভিমানিনী অপরাহের প্রখর রৌদ্রে চারিদিক আলোকিত। শ্যামচাদ, গোবিন্দু ও নীরেন্দ্র একটা ভূগর্ভ সমাহিত কক্ষে বসিয়াছিল। অনেকদিন হইতৃে তাহারা বেশ ব্যবসা চালাইয়া আসিতেছিল, শচীন্দ্রের সাহায্যে তাহাদের টাকা চালাইতে কিছুমাত্র ক্লেশ পাইতে হয় নাই। শ্যামচাদ তাই অনবরত টাকা তৈয়ার করিতেছিল। আজ নীরেন্দ্র নিজে গোবিন্দের সঙ্গে টাকা লইতে আসিয়াছিল। ইতিমধ্যে উমানাথের সাহায্যে ডিটেকটিভ পুলিস সকল সন্ধান জানিতে পারিয়াছিল। শচীন্দ্রও ইহার মধ্যে লিপ্ত এই সন্দেহে হৃদয়বাবুর বাড়ীতে পুলিস গিয়াছিল। অৰ্দ্ধক্ষিপ্ত হৃদয়বাবু তাহাদের অনুসন্ধানে এইটুকু বুঝিতে পাসিয়াছিলেন যে শচীন্দ্র দিল্লীতে আছে। পুলিশ বিফলমনোরথ হইয়া ফিরিয়া গেলে হৃদয়বাবু একজন গোমস্ত ও ভূতা সঙ্গে লইয়া দিল্লীতে আসিয়াছিলেন। 项 পুলিশ নীরেন্দ্র ও গােবিন্দের গতিবিধির উপরও লক্ষ্য রাখিয়াছিল। গঙ্গাধর বাবুর বাড়ীতেও সন্ধান লাইতে ছাড়ে নাই । পুলিস কোন কথা ভাঙ্গিয়া না বলিলেও উমানাথ গঙ্গাধর বাবুকে সতর্ক কারিয়া দিয়াছিল । শুনিয়া গঙ্গাধর বাবুর মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল। সুশীলাসুন্দরী আহার নিদ্রা ত্যাগ করিয়াছিলেন । শেষে গঙ্গাধর বাবুও উমানাথের নিকট সংবাদ লইয়া নীরেন্দ্রকে যদি কোন রকমে উদ্ধার করতে পারেন এই আশায় দিল্লী আসিয়া পৌঁছিয়াছিলেন । শ্যামচাদ, গোবিন্দ বা নীরেন্দ্র ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারে নাই যে তাহাদের প্রত্যেক গতিবিধির উপর পুলিশের চর লক্ষ্য রাখিয়াছে। জাল একেবারে না, গুটিাইলে মাছ নিজ অবস্থা বুঝিতে পারে না। আজ তোগলকাবাদের ধ্বংসস্তুপের আশে পাশে সশস্ত্র পুলিশ উঠিতেছিল।
পাতা:অভিমানিনী.djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।