Ro অভিমানিনী জমাদারকে শচীন্দ্রের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। জমাদায় বলিল “সে এতক্ষণ দিল্লীতে গ্রেপ্তার হয়েছে। সকাল থেকে তাকে নজরবন্দী রাখা । হয়েছিল ।” শুনিয়া হৃদয়বাবু, দন্তে দন্ত ঘর্ষণ করিয়া পদব্রজে তোগলকাবাদের ংসস্তুপের দিকে অগ্রসর হইলেন। কেন র্বে সেদিকে যাইতেছেন তাহা তিনি ও জানিতেন না। তাহার বিকৃত মস্তিষ্ক তাঁহাকে যাদৃচ্ছি। পরিচালিত করিতেছিল। টঙ্গাচালক জিজ্ঞাসা করিল, “বাবু, এখানে গাড়ী রাখিব কি ?” হৃদয়বাবু চলিতে চলিতেই বলিলেন “হঁ৷ ” কিয়ন্দরে একটি কৃপপার্শ্বে এক বৃক্ষতলে সে গাড়ী রাখিল। আকাশের ভাবগতিক দেখিয়া সে বুঝিয়েছিল, এইবার অ্যাধি আসিবে। অনেকটা অগ্রসর হইয়া হৃদয়বাবু দেখিতে পাইলেন, কে একজন আসিতেছে। নিকটস্থ *হইলে চিনিলেন গঙ্গাধর । গঙ্গাধর পুত্রের পরিণাম জানিতে আসিয়াছিলেন। নিকটস্থ মসজিদে ছিলেন। এখন কোতিয়ালীতে যাইতেছিলেন। যদি জামিন চইয়া নীরেন্দ্রকে ছাড়াইয়া লাইতে পারেন । গঙ্গাধরকে দেখিয়া হৃদয়বাবু। গর্জন করিয়া উঠিলেন। গঙ্গাধর ও সেইখানে সেই অবস্থায় হৃদয়বাবুকে দেখিয়া বিস্মিত হুইয়া গেলেন। বলিলেন “এ কি ? আপনি এখানে ?” বিকৃতমস্তিষ্ক হৃদয় বিকট চীৎকার করিয়া বলিলেন “আসাব না ? তুমি জান না কেন এসেছি ? আমি সব জেনেছি। উমানাথ আমায় সব জানিয়েছে। গঙ্গানা চুরি করে আমার সর্বনাশ করেছ। আমার ছেলে-বেীকে পার ক’রে দিয়েছ । আবার জিজ্ঞাসা করছি আমি কেন এখানে ? তোমার ছেলের জন্য আমার ছেলে আজ গ্রেপ্তার হয়েছে।” গ। আমার তাতে দোষ কি বলুন ? *
পাতা:অভিমানিনী.djvu/২২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।