চতুর্থ পরিচ্ছেদ ՔS দত্তগিন্নী তাহাতে রাগিয়া গেলেন । “পোড়াকপালীয়া আমার হিংসায় মারে।” মনে মনে এই কথা বলিয়া গামছাখানার উপর নিজের রাগ ঝাড়িতে লাগিলেন । গামছা কাচার চোটে বামুন ঠাকরুশ ও বামার মা আর অধিকক্ষণ নিকটে টিকিতে পারিলেন না । কারণ তাহদের স্নান হইয়া গিয়াছিল। গামছার তাড়নে পুষ্করিণীর জল ছিটাইয়া উঠিতেছিল। বামুন ঠাকরুণ ও বামার মা চলিয়া গেলে দস্তুগিনী একাই স্নান করিতে লাগিলেন । স্নান করিতে করিতে দত্তগিনীর দৃষ্টি বসুদের খিড়কীর দ্বারের উপর পড়িল । দ্বার অৰ্দ্ধমুক্ত ছিল । দেখিলেন শচীন্দ্র ও মালতী দাড়াইয়া আছে । শচীন্দ্র এক হাত মালতীর কঁাধের উপর দিল । মালতী সে হাত ঠেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল। দস্তুগিল্পী মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “মা গো, আজিকালিকার ছেলেরা সব কি বেহায়াই হয়েছে ।” ঘটনাটা কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যরূপ। মালতী যখন শুনিল যে তাহাকে লইয়া যাইবার জন্য তাহার শ্বশুর ও তাহার স্বামী আসিয়াছেন ও তাহার মা তাহাকে পাঠাইতে স্বীকৃত হইয়াছেন, তখন সে ঝিকে দিয়ু চুপি চুপি শচীন্দ্রকে ডাকাইয়া পাঠাইল । শচীন্দ্র আসিল । উপর বাড়ীর চারিদিকে লোক । নিৰ্জন বলিয়া মালতী খিড়িকীর দ্বারের কাছে দাড়াইয়াছিল। শচীন্দ্র মুনমুখে আসিয়া 5ांकिल, "भालडी।” মালতী বলিল, “আমি তোমাদের সঙ্গে যাব না।” শচীন্দ্র । কেন মালতী ? মা । ,, আমি গেলে আমার মাকে কে দেখবে ? ভায়েদের কে দেখবে ? শ। তুমি না গেলে আমায় কে দেখবে মালতী ? �
পাতা:অভিমানিনী.djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।