পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a 3 অভিযান্ত্রিক বদলালে এখানে থাকতে দেবার নিয়ম নেই। একটা কথা বলচি বাবু, উনি এতদিন আছেন, কখনও কোনো চিঠি আসেনি। ওঁর নামে ! কেউ নেই বাবু, বাডিঘর ও নেই, থাকলে আর চিঠি দেয় না ! আমি ধমক দিয়ে চাকরকে চুপ করা লুম। তার অত কথার দরকার কি ? একদিন দেখি ভদ্রলোক গ্যেটের ফাউস্ট-এর ইংরিজি অনুবাদ পড়ছেন । আমায় ডেকে দু-এক জায়গা শোনালেন, গ্যেটে সম্বন্ধে অনেক কথা বললেন । বায়রন যখন যুবক, গ্যেটে তখন বৃদ্ধি, বায়রনের মতো সুশ্রী তরুণ কবিও প্রেমিক গ্যেটের মনে কি রেখাপাত করেছিলেন প্রধানত সেই সম্বন্ধে অনেক কথা বললেন । এই বইখান। তার অত্যন্ত প্রিয়, বহুবার EDDL0SDBB KDY KYDDS আমি তার টেবিলে ‘ফাউন্ট’-খানা পড়ে থাকতে দেখলুম। বিকেলেও, তখন তিনি বেরিয়ে গিয়েচেন । বই দেখে মনে হয়। ভদ্রলোকের অবস্থা ভালো নয়। বইয়ের পাতাগুলো ময়লা, বঁধুনি আলগী, এত প্রিয় বই অথচ এমন অযত্নে রেখেচোন কেন ? হাতে পয়সা থাকলে কি আর বই বাধাতেন • ? বড় দরের কবিকে ভালোবাসে, এমন লোক দুজন দেখলুম। আমার ভ্রমণের মধ্যে, বরিশালের সেই শেকসপিয়ারের ভক্ত ভদ্রলোক, আর ইনি । কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা বড় তফাৎ রয়েচে, বরিশালের সে ভুদ্রেলোকের অবস্থা যথেষ্ট সচ্ছল, এমন কি তঁাকে ছোটখাটো জমিদার বলা চলে, কিন্তু ইনি একেবারে নিঃসম্বল। অথচ কি অদ্ভুত কাব্যপ্রিয়তা ! যত রাত্রেই ফিরতেন, তাকে দেখতাম ‘ফাউস্ট’-এর কয়েকখানা পাতা না পড়ে কিছুতেই ঘুমোতেন না । আমি যেদিন ‘কুঞ্জবন” প্যালেস দেখতে গেলুম দ্বিতীয় বার, সেদিন সকালবেলা ধোপা তাগাদা করতে এসে ভদ্রলোককে অনেক কড়া কথা