পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্তিক S99 অম্বিকা বললেী-চালো, আগে গিয়ে কোথাও রান্না করে খাওয়া যাবে--রান্না করবার জিনিসপত্র তো চাই-তাই বা কোথায় পাবো ? -চলে যা হয় ব্যবস্থা হবেই । ব্যবস্থার কোনো চিহ্ন নেই কোনো দিকে । সুদীর্ঘ সোজা পথ, গ্রাম” দু-তিন মাইল অন্তর । পুরেনি বলে একটা গ্রাম রাস্তার ধারেই পড়লোএখানে একটা ডাকঘব আছে, দু-চারখানা দোকান-কিন্তু দোকানের খাবার দেখে কিনতে প্রবৃত্তি হ’ল না। আমাদের । পুরেনি ছাডিয়ে মাইল-খানেক গিয়েচি, এক জায়গায় পথের ওপর অনেকগুলো কুলি খাটচে-খোয়া ভাঙচে । তাদের কাছে একখানা এক্কা দাডিয়ে। একজন,বিহারী ভদ্রলোক কুলিদের তদারক কারচেন পায়চারি করতে করতে। আমাদের অদ্ভুত বেশ দেখেই বোধহয় তার দৃষ্টি সেদিকে আকৃষ্ট হ’ল। দুজনেরই পরনে খাকীর হাফ-প্যাণ্ট, গায়ে সাদা টুইলের" হাতকাটা শার্ট, মাথায় সোলার টুপি, পায়ে হাটু পর্যন্ত উলের মোজা ও বুট জুতো । তার ওপর আবার দুজনেরই চোখে চশমা, হাতে ॐ | उश् िछ । এ ধবনে সেজে গুজে বিহারের অঙ্গ পল্লীপথে চললে লোকের দৃষ্টি আকৃষ্ট না কবে পারে ন! ! পথে দেখে এসেচি প্রত্যেক বস্তির লোক আমাদের দিকে ই করে চেয়ে চেয়ে দেখাচে-পুরেনি বাজারে তো লোকে আমাদেব দিকে আঙুল দেখিয়ে কি বলাবলি করেচে। আর কিছু না হই, আমরা যে পুলিশের দারোগ এ ধারণ। অনেকেরই হয়েচে সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ । ভদ্রলোক বাংলায় জিজ্ঞেস করলেন-আপনারা কোথায় যাবেন ? ওঁর মুখে বাংলা শুনে আমরা একটু আশ্চর্য না হয়ে পারলুম না । ওঁর চেহারা অবিকল দেহাতী বিহারী ভদ্রলোকের মতই। ভাগলপুর শহর