পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক Re S. একবার এই সুন্দর গ্রামখানিতে ফিরে আসবো । অবিশিষ্ঠ এখনও পর্যন্ত সে কল্পনা কার্যে পরিণত হয়নি-কিন্তু মাঝে মাঝে প্রায়ই মনে হয় গ্রামখানির কথা । গতি বৎসর বড়দিনের পবে কার্যোপলক্ষে একবার দেওঘর। যেতে হযেছিল, কতবার ভেবেছিলুম। লছমীপুরের পথে গিয়ে একবার মহিযারডি গ্রামে হরবংশ গোপের সঙ্গে দেখা করে আসি, আবার ওদের রাঙামাটির ডাঙার সেই হাতীর মতো বড় পাথরখানার ওপর বসে আসি । কিন্তু মানুষের সব ইচ্চা সব সময় পূর্ণ হয়। কই ? মোহনপুব ডাকবাংলোয় আমরা পৌছে গোলাম বেলা দশটার মধ্যে । এই স্থানটিও খুব সুন্দর-ত্রিকূট-শৈলের পাদদেশে ডাকবাংলোটি অবস্থিত, দেওঘর থেকে বাউসি দিয়ে যে রাস্তা গেছে, তারই ধারে । আমরা সেখানে বেশিক্ষণ ছিলাম না । ঘণ্টা দুই বিশ্রাম ক’রে বেলা দুটোর সময় সেখান থেকে রওনা হবে ঠিক করেচি, কিন্তু অম্বিক বললেএতদব এসে একবার ত্রিকূট পাহাড়ে ওঠা দরকার। পাহাডে না উঠে fK , ! দুজনে পাতাডে উঠতে আরম্ভ করলুম। প্রথম অনেকদূর পর্যন্ত কঁাটা-বাঁশের বন । পাহাডে উঠবার পথ বেশ ভালো, বড় বড় পাথরের পাশ বেয়ে ঝরনার জল গড়িয়ে আসচে-কিছুদূর উঠে জন-দুই সাধুর সঙ্গে দেখা হ’ল। একজন বললেন-বাবুজিরা কোখোেক আসচেন ? - লাগলপুর থেকে, পায়ে হেঁটে দেওঘর যাবে। --আপনাদের ধর্মে মতি আছে, একালে এমন দেখা যায় না । সাধু বাবাজিদের কাছে মিথ্যে ভক্ত সেজে কি করব, আমরা খুলেই বললুম সব কথা। আমাদের আসল উদ্দেশ্য পায়ে হেটে দেওঘর আসা, বৈদ্যনাথজি-দর্শন নয়, যদিও মন্দিরে নিশ্চয়ই যাবে এবং দেবদর্শনও করবো ।